রাজ্য মহিলা কমিশনে ‘তালা’, বিজেপির পুলিসের ‘নরম’ ভূমিকায় অবাক নেত্রীরা
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান কিংবা বুধবারের বিজেপির ডাকা বন্ধ রুখতে পুলিসের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। অথচ শুক্রবার বিজেপির রাজ্য মহিলা কমিশন অফিসে ‘তালা ঝোলানোর’ কর্মসূচিতে অপেক্ষাকৃত ‘নরম’ ভূমিকা নিল বিধাননগর পুলিস। প্রত্যক্ষদর্শীদের অন্তত এমনটাই দাবি। এদিন বেলা গড়াতেই বিধাননগরের করুণাময়ী মোড়ে বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন ছিল। গেরুয়া পার্টির মহিলা মোর্চার অভিযান দমনে উর্দিধারী প্রমিলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জমায়েত চোখে পড়লেই পুলিসের ব্যস্ততা বাড়ছিল। খানিক পরে নিক্কো পার্কের কাছে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় কিছু কর্মী-সমর্থক নিয়ে হাজির হলে, পুলিস তাঁদের আটক করে বাসে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়। খানিক পরেই অবশ্য তাঁরা ছাড়া পান। পুলিসি কৌশল দেখে বিজেপি প্ল্যান বদলে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের দলীয় অফিসের সামনে থেকে দুপুর আড়াইটে নাগাদ মিছিল শুরু করে। কার্যত কোনও বাধা ছাড়াই পুলিস প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথে দাপিয়ে বেড়ানোর সুযোগ দিয়েছে বিজেপি মহিলা বাহিনীকে। যদিও প্রথমে এই মিছিল করুণাময়ীতে আটকে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছিল পুলিস। কিন্তু অজানা কারণে করুণময়ী থেকে ফোর্স তুলে সিটি সেন্টার ওয়ানের সামনে কমিশনের অফিসের সামনে নিয়ে আসা হয়।
যা নিয়ে পুলিস কর্মীদের মধ্যেই তীব্র সংশয় তৈরি হয়। মিছিল কমিশনের সামনে আসতেই বৃষ্টি শুরু হয়। কাক ভিজে হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান পদ্ম পার্টির নেত্রীরা। কমিশনের সামনেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। বৃষ্টির মধ্যেই বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন তাঁরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দলকে কমিশনে যাওয়ার অনুমতিও দেয় পুলিস। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, দেবশ্রী চৌধুরীরা ভেতরে যান। তার পর ভেতর থেকেই কমিশনের মূল গেটে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। তবে লকেটরা কোনও স্মারকলিপি দেননি। তাঁদের দাবি, তাঁরা কমিশনে এসেছিলেন দেখতে, সদস্যরা আছেন কি না! যে সময় লকেটরা কমিশনের ভেতরে যান, তখন দপ্তরেই ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মহিলা মোর্চার এক পদাধিকারী বলেন, এদিন পুলিসের ভূমিকা প্রথম থেকেই আমার সন্দেহজনক লেগেছে। দীর্ঘপথ পুলিসি কর্ডনেই আমাদের মিছিল ‘সুরক্ষিত’ ছিল। কমিশনের অফিসের সামনেও পুলিস অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। ধস্তাধস্তি যেটা হয়েছে, সেটা স্বাভাবিকই ছিল। নিজস্ব চিত্র