• ৩০০ বিতর্কিত ফাইল সিবিআইয়ের জিম্মায়, এখনও অমিল বহু নথি
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণ এবং আর্থিক দুর্নীতি—এই দুই মামলার তদন্তে নেমে প্রায় ৩০০ বিতর্কিত ফাইল নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। বস্তুত, বর্তমানে হাসপাতালের অর্ধেকের বেশি ফাইলই এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিম্মায়। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু করে টানা দু’সপ্তাহ হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ফাইলগুলি বস্তাবন্দি করে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ বস্তা ফাইল গাড়িতে উঠিয়ে সিজিও এবং নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপরও হাসপাতালে তন্নতন্ন করে খোঁজ চলছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের। 

    এই অবস্থায় শুক্রবার তদন্তকারীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট ৯১ জন রোগীর সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। তাতে কিছুটা অবাকই হয়েছেন আর জি করের কর্তারা। হাসপাতাল এবং তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষের সময়ে এই ৯১ জন রোগীর চিকিৎসা হয়েছিল। মূলত তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত এবং হাসপাতাল থেকে ছুটির কাগজ চাওয়া হয়েছে বলে খবর। 

    দু’টি পৃথক তদন্তে তদন্তকারীরা টিম তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছেন। লাগাতার অভিযান চলছে এমএসভিপি বা সুপার অফিস, প্লাটিনাম জুবিলি বাড়ি বা অধ্যক্ষ অফিস, আর জি করের স্টোর, মর্গ, রেকর্ড সেকশন ইত্যাদি জায়গায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাউসস্টাফ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ, মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইউনিটে বিজ্ঞানী নিয়োগ, টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজ, বদলি সংক্রান্ত নথির ফাইলগুলি খুঁজে বার করেছে সিবিআই। আর খুন-ধর্ষণের তদন্তে হাসপাতালের প্রায় সমস্ত স্তরের কর্মী ও চিকিৎসকদের ডিউটি রোস্টার ও আনুসঙ্গিক তথ্য সংবলিত ফাইলগুলি খুঁজে বার করেছে সিবিআই। যে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত চলছে, সেই চেস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রায় সব ফাইল নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। তবে ২ সপ্তাহ ধরে অভিযান চালানোর পরও বর্জ্য নিষ্কাশণ সংক্রান্ত বেশ কিছু ফাইল মেলেনি। শেষমেশ এ সংক্রান্ত কয়েকটি ফাইল পাওয়া যায় প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ ডাঃ সঞ্জয় বশিষ্ঠের ঘরের আলমারিতে। আরও কিছু ফাইলের খোঁজ চলছে এখনও।
  • Link to this news (বর্তমান)