• ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার, কড়া কেন্দ্রীয় আইন চেয়ে মোদিকে ফের চিঠি মমতার
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের জন্য কড়া কেন্দ্রীয় আইন তৈরির দাবিতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিটি শুক্রবার নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হয়। আর জি কর কাণ্ডে দেশজুড়ে হইচই শুরু হওয়ার পর ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। ওই চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত কড়া শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করতে কেন্দ্রীয় সরকার আইন তৈরি করুক। ওই আদালতে ১৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই চিঠির কোনও জবাব প্রধানমন্ত্রী নিজে দেননি। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী একটি চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রীকে। ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মহিলাদের উপর অপরাধ সংক্রান্ত মামলার বিচারের জন্য এখন যে আইনি ব্যবস্থা আছে সেটাই যথেষ্ট। একই সঙ্গে নারীঘটিত অপরাধের বিচার ও অভিযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্যের কিছু খামতির কথাও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

    প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয় যে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন তাতে তিনি ফের উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণ এবং ধর্ষণ-খুনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিচার দ্রুত নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে কড়া কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে লেখা প্রথম চিঠিটির কোনও জবাব যে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছ পাওয়া যায়নি চিঠির শুরুতেই তার উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীর তরফে তাঁর চিঠির যে জবার দেওয়া হয়েছে, তাতে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়ে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত তৈরিসহ কয়েকটি বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেসব খামতির উল্লেখ করেছিলেন, তার জবাবও তথ্য-পরিসংখ্যানসহকারে এই চিঠিতে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত ও ৬২টি পকসো আদালত কাজ করছে। বিশেষ আদালতগুলির বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। রাজ্যে ১১২ এবং ১০৯৮ নম্বরে হেল্পলাইন কার্যকর আছে বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, দেশের সব রাজ্যের মধ্যে চালু ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তৃতীয় স্থানে আছে। কেন্দ্রীয় সরকারই সংসদে এই তথ্য জানিয়েছে। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিসংখ্যানও তিনি দিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)