নয়াদিল্লি: আর জি কর কাণ্ডের ক্ষত এখনও দগদগে। তার মধ্যেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট। সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাতের ডিউটিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন দেশের ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক। তার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটাতে হয় তাঁদের। তার জন্য ছুরি জাতীয় অস্ত্র সঙ্গে রাখতে বাধ্য হন তাঁরা।
আর জি কর কাণ্ডের পরেই প্রশ্নের মুখে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা। এই আবহে আইএমএ-র সদস্যদের মধ্যে সমীক্ষাটি করা হয়। ২২টি রাজ্য থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমীক্ষায় সাড়া দেন ৩ হাজার ৮৮৫ জন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ চিকিৎসকের বয়সই ৩৫-এর নীচে। তাঁদের মধ্যে ৬১ শতাংশই ইন্টার্ন বা জুনিয়র চিকিৎসক। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৪.১ শতাংশ ‘অসুরক্ষিত’ ও ১১.৪ শতাংশ ‘অত্যন্ত অসুরক্ষিত’ বোধ করেন। বলা হয়েছে, ২০-৩০ বছর বয়সি চিকিৎসকরা বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। রাতের ডিউটি থাকলেও ৪৫ শতাংশ ডাক্তার প্রয়োজনীয় ঘর বা ডিউটি রুম পাননি। বাধ্য হয়ে তাঁদের অন্যত্র ব্যবস্থা করতে হয়েছে। যেখানে নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে। আবার ডিউটি রুম থাকলেও সেখানে শৌচাগার নেই বা মূল কাজের জায়গা থেকে তা অনেকটা দূরে, এমন সমস্যার কথাও জানিয়েছেন অনেকে। ফলে রাতে বাইরে বেরতে হয় তাঁদের। এ জন্য নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন অনেকেই। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে পর্যাপ্ত ডিউটি রুম, শৌচাগার, সিসি ক্যামেরার সুপারিশ করা হয়েছে।