• নবান্ন অভিযানের আড়ালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই ছিল উদ্দেশ্য, অভিযোগ সরকার পক্ষের
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নবান্ন অভিযান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপরই বিশৃঙ্খলার দায় চাপাল সরকার। যদিও নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজের অন্যতম সদস্য সায়ন লাহিড়িকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ শনিবার দুপুর দু’টোর মধ্যে তাঁকে মুক্তি দিতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি এফআইআরের প্রেক্ষিতে পুলিস কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে এদিন নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।  সায়নের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি এফআইআর খারিজ ও তাঁর জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়নের মা অঞ্জলী লাহিড়ি। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর অন্তর্বতী নির্দেশে তাঁকে জামিন ও কঠোর পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্ট। ৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    অন্যদিকে, এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে মূল মামলার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলির দীপঙ্কর কুণ্ডুর দাবি, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা রাজপথে সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধে শামিল হয়েছিলেন। শান্তিপূর্ণ অভিযান নয়, বিশৃঙ্খলা তৈরিই ছিল তাঁদের মূল উদ্দেশ্যে। সেই কারণে ওই দিন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় শহরে। তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে জখম হয়েছিলেন এক পুলিস অফিসার। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই অবস্থায় ধৃতদের জামিন দেওয়া কোনও মতেই ঠিক হবে না। এদিন আদালতে মামলার সওয়াল চলাকালে দফায় দফায় দুই তরফে তীব্র তর্ক হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, পুলিস এই ঘটনায় আইন কানুন না মেনে আমাদের মক্কেলদের গ্রেপ্তার করেছে। যাঁরা কোনও গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না, পুলিস তাঁদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। যার কোনও ভিত্তি নেই। তাই যে কোনও শর্তে আমাদের মক্কেলদের জামিন দেওয়া হোক। উত্তরে সরকারি আইনজীবী বলেন, নানা তথ্য‑প্রমাণ ও সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, বিচারক ধৃত দুই মহিলাকে জামিন দেন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিস বৃহস্পতিবার ফের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যমগ্রাম থেকে। তার মোবাইল থেকে একটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। যেখানে নানা উস্কানিমূলক কথাবার্তা রয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)