নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: মগরায় শ্যুটআউটের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করল হুগলি গ্রামীণ পুলিসের বিশেষ দল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে মগরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনার পিছনে কোনও ‘মাস্টারমাইন্ড’ আছে কি না, তা পুলিস কর্তারা খোলসা করেননি। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিজিৎ ঘোষ ওরফে গোপাল ও তপন সিংহ। দু’জনেরই বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। শুক্রবার তাদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেন।
হুগলির গ্রামীণ পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, আমাদের একটি টিম ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার রাতেই তল্লাশি শুরু করে। তাতেই সাফল্য এসেছে। একটি গাড়ি থেকে এই দু’জন গুলি চালিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা যা তথ্য পেয়েছি, তাতে ব্যবসায়িক কারণে দু’পক্ষের মধ্যে শত্রুতা ছিল। এই ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে হুগলির মগরার নাকশা মোড়ের কাছে চাপারুইয়ে এক মাটি ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গী গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার গ্রামীণ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘটনার পরপরই অবৈধ মাটি কারবার, প্রোমোটারি নিয়ে মাফিয়া চক্রের বিষয়টি সামনে এসেছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিস শ্যুটআউট কাণ্ডে অভিযুক্ত দু’জনকে পাকড়াও করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রোমোটারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাটি ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দে’র সঙ্গে তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল। তদন্তকারী মহল থেকে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন চারচাকার একটি গাড়িতে করে এসে বিশ্বনাথকে গুলি করেছিল। তাতে তাঁর সহকারী মইদুল ইসলামও জখম হন। সেই গাড়ির সূত্র ধরেই পুলিস তদন্তে সাফল্য পেয়েছে। গাড়িটি ভাড়া করা হয়েছিল। গুলিকাণ্ডের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত হলেও আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। তদন্তকারীদের অনুমান, উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। কারণ, তা দিয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি করার প্রমাণ মিলেছে। উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র কী করে জেলায় আসছে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে পুলিসকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ধৃতরা অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এদিকে, গুলিকাণ্ডে জখম বিশ্বনাথ বর্তমানে কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি মইদুল ইসলাম এখন অনেকটাই সুস্থ।