• বর্ষায় ভেঙেচুরে একাকার রাস্তা প্রতিপদেই চালকদের মরণফাঁদ
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, বজবজ: বৃষ্টি জোরদার হতেই রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে পদে পদে মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে পিচ ওঠা রাস্তার ঩বিভিন্ন জায়গায়। কামালগাজি থেকে রাজপুর, বোড়াল, ফলতার শ্যাওড়াহাটি থেকে ডায়মন্ডহারবার সহ একাধিক রাস্তার চিত্র এখন একই। যেভাবে রাস্তা ভেঙেছে, তাতে যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা সাধারণ মানুষের। অটো এবং বাইক চালকদের জন্য এইসব রাস্তা অত্যন্ত বিপজ্জনক।  

    কামালগাজি ক্রসিংয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টিতে সেগুলি টইটম্বুর থাকায় কোনটা রাস্তা আর কোনটা গর্ত চিনতে অসুবিধা হচ্ছে অটো, বাইক চালকদের। ফলে থমকে যাচ্ছে গাড়ির গতি। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন পেরলে বারুইপুরমুখী রাস্তায় খানাখন্দ আরও বেশি। ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি, বাইক চলাচল করছে এই রাস্তায়। রাজপুর বাজার ও শ্মশানের কাছে রাস্তা বলে কিছু নেই। পিচ উঠে সেখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। দ্রুত রাস্তা সংস্কার হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলির হালও খারাপ। বোড়ালের বাঘেরঘোলে (৩৩ নম্বর ওয়ার্ড) বিভিন্ন রাস্তা ছোটখাট পুকুরে পরিণত হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, পুজোর আগেই সব রাস্তা সারাই করবে পিডব্লুডি। 

    ফলতার সীমান্ত শ্যাওড়াহাটি থেকে পাটেশ্বরী যাওয়ার তিন কিলোমিটার রাস্তা ভেঙেচুরে একাকার। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই রাস্তা। এই বর্ষায় তার বারোটা বেজে গিয়েছে। ফলতার বসবাদী, চাঁদপালা, তেঁতুলবেড়িয়া, তালান্ডা ও বৃহস্পতিপুর গ্রামের মানুষকে সরিষা থেকে ডায়মন্ডহারবার বা কলকাতায় যেতে হলে এই রাস্তা ধরতেই হয়। রাস্তা খারাপ থাকায় অটোর সংখ্যা একদম কমে গিয়েছে। এ নিয়ে ফলতার বিধায়ক শঙ্কর নস্কর বলেন, ওই রাস্তাটি আমার বিধানসভা কেন্দ্রের সীমান্ত অংশ হলেও সেটি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের আওতাধীন। যদিও ফলতার মানুষ বিভিন্ন কাজে এই রাস্তা বেশি ব্যবহার করেন। বিষয়টি মহকুমা শাসককে বলা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)