• প্রতিবাদীদের জমায়েতে 'বাইকের ধাক্কা'! ৫ ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশ, সিভিকের নামে FIR
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • সিঁথি মোড় কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরোধে থাকার পর বিটি রোড থেকে সরেছেন প্রতিবাদীরা। এর আগে ভোর ৪টে থেকে ডানলপ থেকে শ্যামবাজার অভিমুখে যাওয়ার লেন অবরুদ্ধ ছিল। উলটো দিকের রাস্তাও এই আবহে বন্ধ রাখা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা এক পুলিশকর্মীকে সেখানে আটকে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন চালিয়ে যান কয়েক ঘণ্টা ধরে।

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে 'রাত দখল'-এর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের তরফ থেকে। সিঁথি মোড়ে রাস্তায় ব্যারিকেড করে সেই অনুষ্ঠান করা হচ্ছিল। গতকাল রাত ১১টা থেকে শুরু হয়েছিল সেই প্রতিবাদী জমায়েতে। আর ভোররাত সাড়ে ৩টের পর সেখানে ব্যারিকেডে এসে ধাক্কা মারে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রতিবাদীদের অভিযোগ ছিল, সেই সিভিক ভলান্টিয়ার 'পুলিশ' লেখা বাইকে করে এসেছিল এবং সে মদ্যপ ছিল। এদিকে আরও অভিযোগ ওঠে, ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সেই সিভিককে আটকানোর বদলে তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। পরে নাকি সিঁথি থানার ওসি অভিযোগ দায়ের করার পরিবর্তে 'বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার' প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে দীর্ঘক্ষণ অবরোধের আবহে অবশেষে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত ১১টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছিল প্রতিবাদী পড়ুয়াদের। সেখান পথনাটিকা চলে। পরে ভোররাত সাড়ে ৩টের পরে নাকি গোলমাল শুরু হয়। মত্ত অবস্থায় বাইক নিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ার পড়ুয়াদের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। সেই সিভিক নাকি ‘পুলিশ’ লেখা একটি বাইকে ছিলেন। এরপর সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তবে অভিযোগ, এক পুলিশ কর্মী এসে সেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এতে প্রতিবাদীদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। যে পুলিশ এসে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান, তিনিও নাকি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের।

    এই গোটা বিষয়টি এক আন্দোলনকারী বলেছেন, 'সিঁথির মোড়ে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ছেলে মেয়েরা মিলে রাস্তায় আঁকছিলাম, গান গাইছিলাম। হঠাৎ করে ভোর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ দু'জন বাইক আরোহী মদ্যপ অবস্থায় ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে যায়। যে বাইকের সামনে পুলিশ লেখা ছিল। সিঁথি থানার সার্জেন্ট তারকেশ্বর বাবু তাদের ঢুকতে দেয়। পরে নাটক করেন যেন তিনি বাধা দিচ্ছিলেন। আদপেও তা নয়। ওই পুলিশ লেখা গাড়ির খোঁজ করে জানা যায়, ২০০৮ সালে সেটির ইন্সুরেন্স এক্সপায়ার করে গিয়েছে। তারই সাথে সার্জেন্ট মানুষটির গা দিয়েও ভক ভক করে সুরার গন্ধ বেরোচ্ছে।' প্রতিবাদীরা দাবি করেন, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আড়াল করছে পুলিশ। এই আবহে অবরোধ তুলে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সিঁথির মোড়ে প্রতিবাদীদের সামনে নিয়ে আসতে হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। সেখানে নাকি আবার পুলিশ পালটা হুমকি দিয়ে বলেছে, প্রতিবাদীদের দাবি মানা হবে না, তারা যা করতে পারে করুক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)