শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ বিমানটি ১৬৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। সূত্রের খবর, কলকাতার আকাশে থাকাকালীন পাইলট লক্ষ্য করেন বিমানটির ডান দিকের ইঞ্জিন ঠিকমতো কাজ করছে না। বিপদের আঁচ পেয়েই তিনি সময় ব্যয় না করে কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি অবতরণের জন্য অনুমতি চান। ট্রাফিক কন্ট্রোলও পরিস্থিতি বুঝে সাত তাড়াতাড়ি অনুমতি দেয়।
ট্রাফিক কন্ট্রোলের থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরেই আর দেরি করেননি পাইলট। দ্রুত রানওয়ে তৈরি রাখা হয়। যাত্রী এবং ক্রুদের নিয়ে সুরক্ষিতভাবেই কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের বিমান থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়। ওই বিমানটিতে ঠিক কী সমস্যা রয়েছে তা জানার জন্য সেখানে ছুটে যান ইঞ্জিনিয়ররা। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে হাজির হয়েছিল দমকলও।
ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত ওই বিমানটি মেরামতির কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঠিক কী সমস্যা ছিল বিমানের ইঞ্জিনে, তা স্পষ্ট নয়। তবে যাত্রীরা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই কলকাতা থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। ভুবনেশ্বর হয়ে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। তা কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।