বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে আশ্রয়, গ্রেপ্তার ১১
এই সময় | ৩১ আগস্ট ২০২৪
অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে ১১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা, মুন্সিগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা জেলার চোরামুকা, নওয়াবাঁকি, কয়রা এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বাসন্তী বিশ্বাস(৬০),কল্পনা বিশ্বাস(৩০), অসীমা খাতুন(২৪), ফতেমা খাতুন(১৮), আজমীরা খাতুন(৯), অনিমা খাতুন(১৪), সুব্রত মণ্ডল(৩৬), রীতা মণ্ডল(৩৫), টুম্পা মণ্ডল(১১), টগরী মণ্ডল(৫) এবং কমল বিশ্বাস (২ মাস)।শুক্রবার সুন্দরবনের ৪ নম্বর ঝিলা কম্পার্টমেন্ট সংলগ্ন বিজয় ভরানি খাল লাগোয়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জলপথে ওই বাংলাদেশিরা ভারতে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। একটি ডিঙি নৌকায় চেপে ১৫ জন বাংলাদেশি ভারতের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়েন। সেই সময় বনদপ্তর ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে যায় ১১ জন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, বাকি ৪ জন নদী সাঁতরে সুন্দরবনের জঙ্গলে লুকিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
কী কারণে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। অন্যদিকে, পালিয়ে যাওয়া আরও ৪ বাংলাদেশির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বনদপ্তর এবং পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় টহলদারি সময় বনদপ্তরের কর্মীদের নজরে আসে একটি ডিঙি নৌকা। নৌকা থামিয়ে আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বনকর্মীরা। অভিযোগ, ভারতে ঢোকার কোনও বৈধ নথি তাঁরা দেখাতে পারেননি। সেই কারণে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১১ জনকেই। ধৃত পুরুষ বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। কোন উদ্দেশ্যে তাঁরা প্রবেশ করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ। মহিলা এবং শিশুদের সরকারি হোমে পাঠানো হতে পারে বলে জানাচ্ছে পুলিশের একাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্তর বদলেছে। ছাত্র আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। আপাতত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্যই বাংলাদেশিরা ভারতে আশ্রয় নিতে চাইছিলেন বলে পুলিশের অনুমান।