‘ধর্ষণে ফাঁসির জন্য নতুন আইন দরকার নেই’, মমতার দাবিকে ‘নাটক’ বলে খোঁচা অধীরের
প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৪
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্ণব দাস: ধর্ষণে ফাঁসির জন্য আলাদা করে কোনও আইন প্রণয়নের দরকার নেই। কারণ, ইতিপূর্বে একই অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের নজির রয়েছে দেশে। শনিবার পানিহাটিতে আর জি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দোষীদের ফাঁসির সাজা নিয়ে এমনই বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সন্তানহারা পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে বার বার নতুন আইন প্রণয়নের দাবি তুলে আসলে ‘নাটক’ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার অধীরবাবুর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস (Congress)নেতা তাপস মজুমদার ও এক প্রতিনিধি দল। এদিন সাড়ে ১১টা নাগাদ পানিহাটির (Panihati)বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে কথা বলেন তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। এর পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীরবাবু বলেন, ”আমি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে আসিনি। এসেছি সাধারণ নাগরিক হিসেবে। এর আগে ১৪ তারিখে এসেছিলাম। কিন্তু ভালো করে কথা হয়নি। এখানে একটা আবেগের ব্যাপার আছে। তাঁদের তো তেমন দাবি নেই। তাঁরা শুধু চান, একমাত্র মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতির জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠোরতম শাস্তি হোক।” তাঁর আরও অভিযোগ, পরিবার সূত্রে খবর, সেদিন পুলিশ টাকার প্রস্তাবও দিয়েছিল পরিবারকে।
আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে বার বার সওয়াল করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)। কেন্দ্রকে নিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) প্রতিক্রিয়া, ”ধর্ষণের অপরাধে ফাঁসির জন্য কোনও আইন লাগবে না। কারণ, এর জন্য আইন বলবৎ আছেই। মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। ঘটনার মোড় ঘোরাতে চাইছে। এর আগে নির্ভয়া কাণ্ডেও অপরাধী ফাঁসি হয়েছে। তারও আগে ধনঞ্জয়েরও ফাঁসি (Hang to death) হয়েছে। ফাঁসির আইন তো দেশে আছেই।”
এদিন পানিহাটি থেকে বেরিয়ে অধীরবাবু যান আর জি কর হাসপাতালে ((RG Kar Hospital), আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সেখানে তাঁকে ঘিরে সাময়িক বিক্ষোভ হয়। তা উপেক্ষা করেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তাঁদের সঙ্গে সামান্য কথা বলে সেখান থেকে চলে যান।