আপনি এটিএম বুথে গিয়েছেন টাকা তুলতে। এটিএম মেশিনে দেখানো নির্দেশিকা অনুযায়ী সঠিকভাবে টাকা তুলতে পারছেন না। এমন সময় পাশ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অজ্ঞাত পরিচয় কোনও ব্যক্তি। কী ভাবে টাকা তুলতে হবে দেখিয়ে দিলেন সেই ব্যক্তি। সাবধান! প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো? এরকমই এক প্রতারণার ঘটনা ঘটল বারাসতে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার বারাসাত থানার করেছে পুলিশ।বারাসতে শনিবার সকালে রহমান গাজী নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় এক এটিএমে টাকা তুলতে যান। তাঁর অভিযোগ, এটিএম বুথের ভেতর আরও এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি টাকা তোলার সময় ওই ব্যক্তি লক্ষ্য রাখছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞাত পরিচিয় ওই ব্যক্তি তাঁকে টাকা তোলার ব্যাপরে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিতে শুরু করেন। রহমানের অভিযোগ, সেখানে তাঁর এটিএম কার্ড নিয়ে কিছু একটি ছলচাতুরি করেন সেই ব্যক্তি। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে পাশের একটি এটিএম বুথে যান রহমান। সেখানেও ওই ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করেন। দ্বিতীয় বুথেও টাকা তুলতে না পেরে তৃতীয় একটি এটিএম বুথে গিয়ে ৫ হাজার টাকা তোলেন রহমান। কিন্তু, তিনি মোবাইলে লক্ষ্য করেন মোট ১০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে।
এরপরেই আশেপাশে ‘সাহায্যকারী’ ওই ব্যক্তিকে আর দেখতে পাননি রহমান। তখনই, রহমান বুজতে পারেন কোনওভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। আশেপাশের এলাকায় খুঁজতে শুরু করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। বারাসাতে তন্ন তন্ন কতে খোঁজার সময় বারাসাত গেঞ্জিমিল-এর কাছে ওই ব্যক্তিকে আবার একটি এটিএমে দেখতে পান রহমান। রহমান বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করি ও আরও একজনকে এটিএমে ঢুকে কিছু একটা বোঝাচ্ছে। তখনই গিয়ে ওকে ধরি। ওকে চেপে ধরতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। আমাকে ৫ হাজার টাকা ফেরত দেয় সে।’
বিষয়টি জানাজানি হতেই লোক জড়ো হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। দিনে দুপুরে এটিএম বুথে এভাবে জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ধরে মারধর শুরু হয়। বিদ্যুতের পোস্টে বেঁধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে বারাসত থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।