আরও ঘনীভূত আরজি করের লাল জামা রহস্য, ডিসি সেন্ট্রালের দেওয়া তথ্য কি ভুল?
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালের যে সেমিনার রুমে নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানকার একটি ছবি সম্প্রতি সামনে এসেছে। প্রথমে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল, ক্রাইম সিনে যাঁরা আছেন, তাঁরা কি বহিরাগত? এই প্রশ্ন উঠতেই পুলিশের তরফ থেকে সাফাই দিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেই সময় ছবিতে উপস্থিত সবাইকে চিহ্নিত করে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই লাল জামা পরিহিত এক ব্যক্তিকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে এবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, সেই লাল জামা পরিহিত ব্যক্তি আদতে এসএসকেএমের সার্জারি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ট্রেনি চিকিৎসক। নাম অভীক দে। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বলেই নাকি পরিচিত এই চিকিৎসক। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, যদি সত্যিই ছবির লাল জামা ব্যক্তি এবং অভীক দে একই ব্যক্তি হন, তাহলে একজন ট্রেনি কীভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট হন?
আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর একটা এক করে দিন পার হচ্ছে এবং মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, আর কতদিন? এই আবহে সিবিআই-এর কাজ নিয়ে অসন্তোষ জন্মাতে শুরু করেছে মানুষের মনে। তবে এরই মধ্যে আনন্দবাজারের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, সিবিআই সূত্রে নাকি জানা গিয়েছে, আরজি করে চিকিৎসক খুনের তদন্তে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে বেনিয়ম হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল, তাঁরা সেই কাজ করেননি। বদলে অন্য দু'জন সেই কাজ করেন। উল্লেখ্য, ফরেন্সিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন। আর ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা বিশেষজ্ঞরা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন। বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতার প্রয়োজন হয় এর জন্যে।
এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেহ উদ্ধারের দিন যে দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই। দু’জনকে ইতিমধ্যেই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে বেলগাছিয়ায় রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট সিবিআইকে দেওয়া হয়নি। এই আবহে আদালতে আগামী শুনানিতে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার বিষয়ে লিখিত ভাবে জানানো হবে বলে দাবি করেছেন এক সিবিআই কর্তা।