ডুরান্ড কাপ ফাইনালেও দেখা গেল আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ। ম্যাচ শুরুর আগে মোহনবাগানের সমর্থকেরা নামালেন দু’টি ব্যানার। সেটাও হল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনেই। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের ম্যাচের আগে প্রতিবাদ দেখা গেল সমর্থকদের।
বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে যে ব্যানার নিয়ে মোহনবাগানের সমর্থকেরা হাজির হয়েছিলেন, সেই একই ব্যানার দেখা গেল এ দিনও। ব্যানারে দেখা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের দুই মহিলা সমর্থক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘হাতে হাত রেখে এ লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই’।
এর সঙ্গেই শনিবার আরও একটি ব্যানার দেখা যায়। মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে যে পোস্টার তৈরি করা হয়েছিল, অনেকটা সেই ধাঁচেই ব্যানার তৈরি করা হয়। সঙ্গে লেখা, ‘তোর কোনও ভয় নেই বোন, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাঠে কোনও টিফো, ব্যানার নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বিধাননগর পুলিশ। পুলিশের সেই নির্দেশিকা বাতিল করতে চেয়ে সে দিনই কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ময়ূখ বিশ্বাস। হাই কোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, টিফো নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। কিন্তু সেই টিফো ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তৈরি করা যাবে না। মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
সেই মতোই ম্যাচের পর প্রতিবাদ করেন সমর্থকেরা। তবে শনিবার কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ম্যাচের আগেই প্রতিবাদ জানানো হয়।