শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরানোর অভিযোগ মুর্শিদাবাদের যুবকের বিরুদ্ধে
এই সময় | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্যালকের বউকে বিয়ে করার প্রস্তাব। রাজি না হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠল 'গুণধর' জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরগিঘিতে। শ্বশুরবাড়ির তিনজন সহ অভিযুক্ত জামাইয়েরও মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে। মৃতদের নাম কুবড়াতন বিবি (৬২), তাহেরা বিবি (২৮), তফিক শেখ (৫) এবং রমজান আলি (৪০)।পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রমজানের স্ত্রীর মৃত্যু হয় দেড় বছর আগে। এরপর সে হামেশাই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শ্যালকের স্ত্রী তাহেরাকে বিয়ে করতে চাইত। যদিও শ্বশুরবাড়ির সকলেই তার এই দাবি অমান্য করে এসেছে। রমজানের এই দাবির জন্য শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ধীরে ধীরে অবনতি হতে শুরু করে। শুক্রবার রাতে এই নিয়েই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে অশান্তি হয় রমজানের। অভিযোগ, ঝগড়ার সময় সে শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন মোট ছয় জন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় চার জনের। অন্যদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। টাকা পয়সা নিয়েও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অশান্তি চলছিল রমজানের, অভিযোগ আত্মীয়দের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রমজানের সম্পর্কের অবনতি হয়। টাকা পয়সা থেকে শুরু করে ব্য়ক্তিগত সম্পর্কেও টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। তবে তার পরিণতি যে এই রকম হবে, তা কেউ ঠাহর করতে পারেনি।
ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট সামনে আসার পরেই মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।