রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশকে নিশানায় নিয়ে ফের স্বমহিমায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কড়া সুরে জানালেন, ‘পাবলিকের মার দুনিয়া পার।’ এমনকী ধর্ষণ বিরোধী আইন নিয়েও রাজ্য সরকারকে নিশানায় নিলেন প্রাক্তন সাংসদ। প্রশ্ন তুললেন, ‘বিধানসভায় কোনও মৃত্যুদন্ডের আইন পাশ করা যায় কিনা জানি না। আর যদি হয়, তাহলে এতদিন লাগলো কেন?’
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধরনা কর্মসূচি চলছে বিজেপি। শনিবার এই কর্মসূচির তৃতীয় দিনে, দিলীপ ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্যের মতো শীর্ষ নেতৃত্বরা। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ বলেন, “ধর্ষণে ফাঁসির আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার জন্য আগামী সপ্তাহে দুদিনের বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে বিধানসভায়। কিন্তু প্রশ্ন হল বিধানসভায় কোনও মৃত্যুদন্ডের আইন পাশ করা যায় কি? আদালত কি সেটা মানবে? যদি আইন আনা যায় সেক্ষেত্রে এত বছর সময় লাগল কেন?”
পাশাপাশি দিলীপ অভিযোগ করেন, “কেন্দ্র নতুন আইন ন্যায় সংহিতা চালু করেছে। এই বিষয়ে লোকসভায় ৩ মাস ধরে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যগুলির থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল। অথচ রাজ্য তার মতামত পাঠায়নি। এই রাবড়ি পলিটিক্স চলবে না।” আরজি কর ইস্যুতে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দিলীপ বলেন, “সুপার ভুল বোঝাচ্ছে। ডিসি সেন্ট্রাল তিনিও ভুল বোঝাচ্ছেন। একটা চক্রান্ত চলছে তার হাত কালিঘাট অবধি আছে। তবে পালাবার পথ নেই।” মামলা যদি সিবিআইকে দেওয়ার হলে প্রথমেই কেন দেওয়া হল না সে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। অভিযোগ করেন, “অনেক চেষ্টা করে ভয় দেখিয়েও আন্দোলন বন্ধ করতে পারছে না ওরা। এই রাজ্যে তৃণমূল না বললে পুলিশ কেস রেজিস্ট্রার হয় না। সবজায়গায় কাটমানি।”
পুলিশকে নিশানায় নিয়ে তিনি আরও বলেন, “মানুষের মননে আঘাত লেগেছে। তাই মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। অন্যদিকে পালটা স্লোগান লিখছে পুলিশ। আমি পুলিকে বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় প্রভাবিত হও না।” একইসঙ্গে চেনা ভঙ্গিতে দিলীপ বলেন, “পাবলিকের মার দুনিয়ার পার।” যতদিন না নির্যাতিতা বিচার পাচ্ছে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ বলেন, “গনেশ পুজো আসছে, তার পর বিশ্বকর্মা পুজো, এর পর পুজো। ওরা ভাবছে সবাই ভুলে যাবে। আমরা কিন্তু রাস্তায় আছি।” দূর্গাপুজো কমিটিগুলিকে বার্তা দিয়ে তিনি আরও জানান, “অনেক পুজো কমিটির দম আছে, তারা টাকার কাছে বিক্রি হয়নি। সরকারি টাকায় কবে দূর্গাপুজো হয়েছে? বিবেক থাকলে ওই পাপের টাকা নেবেন না।”