আন্দোলনের ফাঁকে চিকিৎসা, RG Kar-এ প্রথম দিন কেমন হল টেলিমেডিসিন পরিষেবা?
প্রতিদিন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রমেন দাস: আন্দোলনের রাস্তা থেকে একচুলও সরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। সুবিচারের দাবিতে তা জারি থাকবেই। কিন্তু কাজেও ফেরা হবে। টানা কর্মবিরতি থেকে সরে শনিবার থেকে আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital)জুনিয়র চিকিৎসকরা চালু করেছেন টেলিমেডিসিন পরিষেবা। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের জিএলটি বিল্ডিং থেকে চলল এই ভারচুয়াল পরিষেবা। আর প্রথম দিন তাতে ভালোই সাড়া পড়ল। তথ্য বলছে, ৫০০ জনের বেশি রোগী নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে অডিও, ভিডিও কলের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যা বিশদে জেনে ওষুধ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সময় ছিল সকাল ১০ টা। কিন্তু তার আধঘণ্টা আগেই টেলিমেডিসিন (Telemedicine) পরিষেবা চালু করে দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুভ্র, দেবদূত, রিয়াদের প্রেসক্রিপশনও ছিল অভিনব। ‘অভয়া ক্লিনিক’ ছাপ দেওয়া সেই প্রেসক্রিপশনে রীতিমতো স্লোগান লেখা ? ‘আর জি করের বিচার চাই/ অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই’। মাঝে ইংরাজিতে লেখা ? We Want Justice. তাতেই রোগীর নাম, বয়স, রোগের লক্ষ্ণণ লিখে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে সারাদিন টেলিমেডিসিন পরিষেবা দিলেন ডাক্তাররা? জুনিয়র চিকিৎসক শুভ্র, দেবদূতরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র এই পরিষেবা চালু করার জন্যই শুক্রবার চারটি নতুন সিম নেওয়া হয়েছিল। সেই নম্বরগুলি আগেই সকলকে দিয়ে দেওয়া হয়। সাড়ে ৯টা নাগাদ ভারচুয়াল ‘অভয়া ক্লিনিক’ চালু হতেই সেসব নম্বরে রোগীরা ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), ভিডিও কল করতে থাকেন। নিজেদের সমস্যা জানান তাঁরা। চিকিৎসকরাও সব শুনে প্রেসক্রিপশনে (Prescription) ওষুধ লিখে তার ছবি পাঠিয়ে দেন হোয়াটসঅ্যাপে। এভাবেই কেউ ৫০, কেউ আবার ৮০ জন রোগীর সুরাহা করেছেন চার ঘণ্টায়। আগামী দিনেও এভাবে তাঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।