• সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: শুক্রবার রাতে নদীয়া জেলা সদর হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তাই নিয়ে শুক্রবার রাতেই হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা চড়ায়। কোতোয়ালি থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ে জেলা হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপারকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

    উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে পাঁচদিন আগে কৃষ্ণনগর দুর্গাপুর তেঁতিয়ার বাসিন্দা এই সুচিত্রা মল্লিক জেলা সদর হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভর্তি হন। তারপর তিনি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। জন্মাবার পর সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, প্রথম থেকেই বাচ্চা সুস্থ সবল রয়েছে বলে পরিবারকে জানানো হয় হাসপাতালের তরফ থেকে। দু’দিন কেটে যাওয়ার পর শিশুর সমস্যার কথা পরিবারকে জানানো হয়। তখন পরিবারের সদস্যরা বাচ্চাকে অন্যত্র রেফার করে দেওয়ার আবেদন জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়, বাচ্চার অবস্থা শোচনীয়। অভিযোগ, আড়াই ঘণ্টা পর যখন বাচ্চাকে পরিবারের হাতে দেওয়া হয়, তখন বাচ্চা মারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সদ্যোজাত শিশুর মা-র গুরুতর অভিযোগ, সন্তান প্রসবের সময় থেকে তিনি কোনও ডাক্তারকে দেখেননি। এমনকী হাসপাতালের সিস্টাররাই তাঁর সন্তান প্রসব করিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

    শিশুর মা সুচিত্রা মল্লিক বলেন, ‘জন্মানোর পর ওঁরা আমার কন্যা সন্তানকে কাচের ঘরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। তখন থেকে আমরা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করতাম যে বাচ্চা কেমন রয়েছে, ওরা বলত বাচ্চা সুস্থ হয়ে উঠছে। গত বৃহস্পতিবার আমি হাসপাতালে লোকজনকে বলি আমাকে বাচ্চার কাছে নিয়ে যেতে। শুক্রবার আমাকে কাচের ঘরে বাচ্চার কাছে নিয়ে যায়। তখন সিস্টার আমাকে বলে যে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার নাগাদ আমাকে বলা হয় হাসপাতালে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই। অথচ সারাদিন এই কথা আমাকে বলা হয়নি। তারপর অনেক করে বলার পর ওরা রাজি হয়। কিন্তু রেফার করার কাগজ দিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগিয়ে দেয়। তারপর যখন গাড়ি নিয়ে এসে আমরা বেরনোর জন্য তৈরি, তখন বাচ্চাকে আনতে গিয়ে দেখি আমরা সন্তান মারা গেছে। আমি এই নিয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

    এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার সদর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল।
  • Link to this news (বর্তমান)