মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিকৃত করে প্রচার করানো হচ্ছে, অভিযোগ শত্রুঘ্নর
বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: অর্থের বিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বিকৃত করে প্রচার করানো হচ্ছে। আমি ওঁর বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছি। উনি বলেছেন, বাংলায় আগুন জ্বালালে তাঁর আঁচ পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও পড়বে। তিনি কখনও দেশের সর্বত্র আগুন জ্বালানোর কথা বলেননি। এই প্রসঙ্গেই উর্দু কবির সায়রী পাঠ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা। শনিবার কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে পড়ুয়াদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর কথা তুলে ধরেন সাংসদ। তিনি আরও বলেন, আরজি কর মামলার তদন্ত এখন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই করছে। তা সত্ত্বেও তাঁকে ও বাংলাকে বদনাম করে বাংলা দখলের চেষ্টা হচ্ছে। তাঁরা জানে, একমাত্র বাংলা দখল করতে পারলেই পুরো দেশ দখলের রাস্তার পরিষ্কার হয়ে যাবে। এভাবেই নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিরোধীদের আক্রমণ করেন আসানসোলের এমপি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে নিজের জীবন তুলে ধরে তাঁদের উজ্জীবিত করেন। তিনি বলেন, সেই সময়ের বিহার থেকে উঠে এসে আমি তারকা হয়েছি। পুনেতে প্রথমদিন খাবারও জোটেনি। আমি মনে করি ট্যালেন্টের থেকেও প্যাশন জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পঠনপাঠনের জায়গা। পড়ুয়ারা অনেক আশা নিয়ে আসেন। এটা রাজনীতির ক্ষেত্র হওয়া উচিত নয়। উন্নয়নের ক্ষেত্র হওয়া উচিত। সঠিকভাবে পঠনপাঠন হলে এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলায় দেশের মধ্যে নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এমপি তহবিলের ১০লক্ষ টাকা ব্যয়েই ডিজিটাল লাইব্রেরিটি গড়ে উঠেছে। মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহাকে অনুরোধ করেন, এমপি তহবিল থেকে ২৫লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সোলার বিদ্যুতের প্যানেল বসানো হোক। এমপি তাতে সম্পতি জানান।
জানা গিয়েছে, এদিন অত্যাধুনিক ডিজিটাল লাইব্রেরির সূচনা হল। অনলাইন ক্যাটালগ, রিমোর্ট লগইন সিস্টেম ও লাইব্রেরি অটোমেশন সফটওয়ার থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা এমন ব্যবস্থা করছি যাতে এক ক্লিকেই কাজি নজরুল ইসলামের সব সৃষ্টি মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে যায়।
এদিন মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ে কেন খোঁচা দিলেন? জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা চলেছে। রাজ্যপাল মনোনীত তৎকালীন উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জন্য যেসব মামলা হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা খরচ করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। যা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দীর্ঘ আন্দোলন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মারামারিও হয়। আন্দোলনের চাপে উপাচার্য পদত্যাগ করেন। এদিন অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গে তুলে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এদিন যাঁরা আমাদের ফুল দিচ্ছেন তাঁরাই পড়ুয়াদের মারধর করেছেন।