• নিম্নমুখী গঙ্গা-ফুলহারের জলস্তর, সারাদিন চষে বেড়ালেন ডিএম
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা মালদহ ও মানিকচক: ধীরেধীরে উন্নতি হচ্ছে ভূতনির বন্যা পরিস্থিতির। গঙ্গানদীর জলস্তর চূড়ান্ত বিপদসীমার নীচে নেমেছে। কমছে ফুলহরের জলস্তরও। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে জমা জল উল্টো পথে গঙ্গার দিকে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন ভূতনির দুর্গতরা। কিন্তু তারপরেও অন্যদিকে ভূতনির জলমগ্ন এলাকাগুলিতে শনিবারও সারাদিন ধরে ছুটে বেড়িয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া সহ পদস্থ আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ।

    গত প্রায় ২০দিন ধরে বড় মাপের ভাঙনের কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ভূতনি দ্বীপের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তবে এখন গঙ্গার জলস্তর কমছে। জেলাশাসক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুরে এই পরিস্থিতিতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থেকেছে। তবে উত্তর চণ্ডীপুরে ১১ কিলোভোল্ট বৈদ্যুতিক লাইন জলের প্রায় ২০ ফিট নীচে চলে যাওয়ায় সুরক্ষার কারণে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে ওই এলাকায় পূর্ত দপ্তরের দেওয়া ৩০টি জেনারেটরের মাধ্যমে আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। 

    ১৫টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৮ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। এছাড়াও এলাকার ২৫ হাজার মানুষকে চিঁড়ে, গুড়, মুড়ি সহ শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ৩০ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ২৫০টি অস্থায়ী শৌচাগার। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগ ২০০টি নতুন নলকূপ বসিয়েছে। জলের পাউচও সরবরাহ করা হচ্ছে। 

    জেলা শাসক জানান, দুর্গতদের জন্য ৩৬টি স্বাস্থ্য শিবির ও পশুপ্রাণীদের জন্য ২৫টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির রয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৫২টি নৌকাও। 

    এদিন ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুর বিপি হাই স্কুল এবং মাদ্রাসার হস্টেলের ত্রাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। সেখানে থাকা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা পর্যাপ্ত ত্রাণ এবং সুবিধে পাচ্ছেন কি না সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করেন তিনি। একই সঙ্গে এদিন মাইকের মাধ্যমে বাড়ির ছাদের উপরে থাকা দুর্গতদের মথুরাপুরের ত্রাণকেন্দ্রে আসার আবেদনও জানান জেলাশাসক।
  • Link to this news (বর্তমান)