• চণ্ডীপুরে জেলা পরিষদ সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দুর্গতদের
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য ও তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দুর্গতদের। খাওয়ার অযোগ্য খিচুড়ি ত্রাণ শিবিরে দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গতরা। ত্রাণ শিবিরে নিম্নমানের খিচুড়ি দেওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় (ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’)।

    শনিবারও জেলাশাসকের সামনে ভূতনিবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জেলা পরিষদ সদস্য জয়শ্রী মণ্ডল। পাল্টা হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তৃণমূলের নেতারা ত্রাণের টাকায় কারচুপি করছেন। এই অভিযোগ তুলেছে বাম ও বিজেপি। পাল্টা বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার বিলির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। যদিও বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। মালদহের ভূতনির তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। কেশরপুরের বাঁধ ভেঙে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ সমস্যায়। বহু পরিবার ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে রয়েছে। প্রশাসন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ত্রাণশিবির খুলেছে। ভূতনির চণ্ডীপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও প্রায় হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মালদহ জেলাপরিষদের সদস্য জয়শ্রী ও তৃণমূল নেতা কৈলাশ মণ্ডল নৌকায় খিচুড়ি নিয়ে হাজির হন ত্রাণ শিবিরে। সেই খিচুড়ি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গতরা। খিচুড়ি না খেয়েই ফেরত পাঠান তাঁরা। 

    পারুল মণ্ডল, পুতুল মণ্ডলরা বলেন, দুর্গন্ধযুক্ত খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছিল। তাই বিক্ষোভ দেখিয়েছি। এই খিচুড়ি দেওয়ার থেকে না দেওয়াই ভালো। 

    শনিবার নৌকা পরিষেবা নিয়েও জেলাশাসকের সামনে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জয়শ্রী। উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত্ মণ্ডল বলেন, সরকারি নৌকা শুধু জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সদস্য ও সরকারি কর্তাদের জন্য। তারা আসছেন নৌকায় করে ঘুরছেন চলে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করছেন না। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি জয়শ্রী। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (বর্তমান)