• নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর হাসপাতালে গিয়ে বংশীহারির নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। পাশাপাশি, নির্যাতিতাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, রাজ্য সরকারের অনেক ধরনের ফান্ড থাকে। নির্যাতিতার পরিবারকে কীভাবে সাহায্য করা যায় দেখা হচ্ছে। আর্থিক সাহায্য করলে জানানো হবে। শনিবার দুপুরে কমিশনের সদস্যদের নিয়ে তুলিকা নির্যাতিতার খোঁজ নিতে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে যান। তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা।  তুলিকা  বলেন, জেলা থেকে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কমিশন আগেই তার রিপোর্ট নিয়েছে। কিশোরী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সুস্থ হলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে কাউন্সেলিং করাব। তার পড়াশোনা সহ অন্যান্য বিষয়েও সবরকম সাহায্য করা হবে।

    সূত্রের খবর, নির্যাতিতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তর থেকে একটি চেক নির্যাতিতার মায়ের নামে ইস্যু করা হয়েছে বলে খবর। তবে রাজ্যের বিশেষ ফান্ড থেকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্ব। 

    ধর্ষণের ঘটনার পর আদিবাসী অধ্যুষিত বংশীহারি গাঙ্গুরিয়া এলাকায় নতুন ৩০০ মিটার ঢালাই রাস্তা ও পর্যাপ্ত পথবাতি লাগানোর কথা জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এলাকায় ১০টি এলইডি বাল্ব লাগানোর কাজ চলছে।

    এদিকে দুপুরে নির্যাতিতার এলাকায় আদিবাসী ও স্থানীয় মহিলারা পুলিসের সামনে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। বংশীহারি থানার পুলিস ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে। আদিবাসী সংগঠনের সদস্য নরেশ হাঁসদা বলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা শুনেছি। প্রশাসন কত দিয়েছে আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
  • Link to this news (বর্তমান)