• চাকরির নামে সাড়ে তিন লক্ষ আদায়, ফেরত না দেওয়ায় যুবককে অপহরণ
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ইটাহার ও করণদিঘি: প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তিকে টাকা ও সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। ফেরত নিতে গেলে অপহরণ করা হল যুবককে। ইটাহার সহ তিন থানার পুলিস যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে অপহৃতকে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। পাল্টা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন অপহৃত ব্যক্তি।  

    ধৃতদের মধ্যে প্রতারণায় অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইসমাইল। তিনি কুশমণ্ডির শিংতোর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। অন্যদিকে অপহরণে অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ সাগিরুদ্দিন, তৌসিফ রেজা, জুনেদ আলম ও সাহাবুদ্দিন। তাঁদের বাড়ি গোয়ালপোখর থানার ডাঙ্গিপাড়া এলাকায়।

    অভিযোগ, ৩ বছর আগে প্রাথমিকে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে  সাগিরুদ্দিনের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা সহ পড়াশোনার সমস্ত সার্টিফিকেট নেন ইসমাইল। চাকরি না হওয়ায় ইসমাইলকে টাকা ও নথি ফেরত দিতে বলেন সাগিরুদ্দিন। চাকরির পরীক্ষা থাকায় শুক্রবার আসল নথি ফেরত দেওয়ার কথা ছিল ইসমাইলের। বন্ধু সরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে ইটাহারের তেতুলতলায় আসেন তিনি। সেখানে উপস্থিত হন সাগিরুদ্দিন ও তাঁর তিন সঙ্গী। কিন্তু সমস্ত নথি না নিয়ে আসায় বাগবিতণ্ডায় জড়ায় উভয়পক্ষ। এরপর একটি ছোট গাড়িতে ইসমাইলকে তুলে চম্পট দেন সাগিরুদ্দিন সহ তার সঙ্গীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চেঁচামেচি শুরু করেন বন্ধু সরিফুল। তিনি বলেন, কথা বলতে বলতে হঠাৎ জোর করে ইসমাইলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় চারজন।

    অপহরণের খবর পেয়ে এসডিপিও রাজীব কুমার ও আইসি সুকুমার ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী অভিযানে নামে। ইটাহারের বিভিন্ন নাকা চেকপোস্ট পার হয়ে জাতীয় সড়ক ধরে রায়গঞ্জ থানা এলাকায় ঢুকে পড়ে অপহরণকারীরা। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ ও করণদিঘি পুলিসকে। ছোট গাড়িটিকে ধাওয়া করে ইটাহার ও রায়গঞ্জ থানার পুলিস। শেষে বোতলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে পুলিসি নাকায় আটকে যায় দুষ্কৃতীদের গাড়ি। ইসমাইলকে গাড়ি থেকে উদ্ধার করে চার চাকার চালক সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে ইটাহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিস জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    সাগিরুদ্দিনের দাদা সাবিল আলম বলেন, চাকরির জন্য টাকা ও নথি জমা নিয়ে  দিচ্ছিল না ইসমাইল।
  • Link to this news (বর্তমান)