• আউটডোর ‘বয়কট’ করে টেলিমেডিসিন! কর্মবিরতিতে ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজন
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২২ দিনের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের বিচার চেয়ে যেমন হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে, তেমনই চিকিৎসা পরিষেবা চালুর দাবিতেও চাপ বাড়ছে ক্রমশ। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তাই শনিবার থেকে আর জি কর হাসপাতালে টেলিমেডিসিন চালু করে দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত ছ’শোর বেশি রোগী দেখলেন তাঁরা। ছিলেন মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, ত্বক সহ বিভিন্ন শাখার ১৪ জন পিজিটি চিকিৎসক। তবে সরকারি টেলিমেডিসিন ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’-এর মাধ্যমে রোগী দেখা হয়নি বলে ওই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে ফ্রিতে ওষুধ মিলবে না। করানো যাবে না কোনও টেস্টও। এই প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী রোগী ও তাঁদের পরিজন তো বটেই, সাধারণ মানুষও বলছেন, টেলিমেডিসিন কখনও আউটডোরে চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। 

    সরকারি চাকুরিজীবী দেবজিৎ দেবগুপ্ত যেমন বললেন, ‘আমরাও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব। কিন্তু মানুষের কথাও ভাবতে হবে। ডাক্তারদের একটি অংশ ধর্না-অবস্থান করবে, অন্য অংশ আউটডোর-ইমার্জেন্সি সামলাবে—এভাবে আন্দোলন চললে মানুষের ক্ষতি হতো না।’ ট্রমা সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে বাগুইআটির সাগর সাহার কথায়, ‘পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বাবাকে নিয়ে ৭ আগস্ট এখানে আসি। ৯ আগস্টের পর হাসপাতাল রোগীশূন্য হতে শুরু করে। ১২ আগস্ট বাবাকে ছুটি করিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হই। ওই পাঁচদিনে মাত্র একবার সিনিয়র ডাক্তার দেখেছেন বাবাকে। ভিতরে কী চলে, আমরাই জানি! টেলিমেডিসিন মন্দের ভালো। কিন্তু আউটডোর-ইনডোরে চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না।’ আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ডাঃ অনিকেত মাহাত বলেন, ‘রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সাতটি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা অভয়া ক্যাম্পে রোগী দেখবেন। বিনামূল্যে সুগার, প্রেশার, ইসিজি পরীক্ষা হবে। ওষুধও দেওয়া হবে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)