• কলকাতা মেট্রোয় যুক্ত হল আরও এক চীনা রেক, পরিষেবা নিয়েই বিস্তর প্রশ্ন
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা মেট্রোয় যুক্ত হল আরও একটি চীনা (৫১৪) রেক। নর্থ-সাউথ করিডোরে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক এই রেকটির প্রথম বাণিজ্যিক দৌড় শুরু হল শনিবার। পাঁচ আগস্ট এই রুটে আরও একটি চীনা (৫১৩) রেক ছোটা শুরু করেছিল। সব মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট রুটে ডালিয়ান প্রদেশ থেকে আসা তিনটি চীনা রেক এই মুহূর্তে যাত্রী পরিষেবার কাজ করে। শনিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে দমদম থেকে নয়া চীনা রেকটি যাত্রা শুরু করে। দুপুর একটা নাগাদ কবি সুভাষ স্টেশনে পৌঁছয়। ফিরতি রুটে দুপুর একটা ১০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর দু’টো নাগাদ দমদম স্টেশনে ঢোকে। 

    উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশীয় প্রযুক্তির ট্রেন-মেট্রো নির্মাণের উপর জোর দিচ্ছেন। কিন্তু ভারতীয় রেল তার উল্টো পথে হেঁটে চীনে কলকাতা মেট্রোর রেকের অর্ডার দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডালিয়ান সংস্থাকে মোট ১৪টি চীনা রেকের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে প্রথম রেকটি (৫০১) কলকাতা মেট্রোর নোয়াপাড়া কার শেডে এসেছিল ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। চার বছর সেই রেকটিকে কার্যত ফেলে রাখা হয়। শেষে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ রেকটি হঠাৎ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। কলকাতা মেট্রোর তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরার কর্মজীবনের শেষ দিনে কেন তড়িঘড়ি প্রথম চীনা রেক নামানো হয়েছিল তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ, তারপর ফের শীতঘুমে চলে যায় রেকটি। যাত্রা পথে একাধিক বাধার মুখোমুখি হচ্ছিল প্রথম চীনা রেকটি। যার উপশমে মাসের পর মাস কেটে যায় ইঞ্জিনিয়ারদের। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, গোটা রুটে কোনওদিনই ছোটেনি এই চীনা রেকগুলি। দমদম পর্যন্ত যাওয়ার পরই কার্যত ‘বসে যায়’ পড়শি রাষ্ট্রে তৈরি রেকগুলি। কেন চীনা রেক দমদম পেরিয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারে না, তার সদুত্তর নেই মেট্রো কর্তাদের কাছে। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে নর্থ-সাউথ করিডোরে ৩৪টি রেক রয়েছে। যার মধ্যে ১৩টি বিএইচইএল, ১৮টি মেধা এবং তিনটি চীনা রেক যাত্রী পরিষেবায় যুক্ত রয়েছে। এখনও আরও ১১টি চীনা রেক আসবে। সূত্রের দাবি, যার মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর নাগাদ আরও দু’টি চীনা রেক আসতে পারে। ২০২৫ সালের গোড়ায় তা যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)