• বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস, তদন্তে গিয়ে হাসনাবাদে আক্রান্ত পুলিস টিম
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেও অন্যত্র বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রেমিক। জানার পরই থানায় অভিযোগ করেন প্রেমিকা। আর সেই অভিযোগের তদন্তে গিয়ে রক্তাক্ত হল পুলিস। কোনওক্রমে এলাকা থেকে চলে এসে প্রাণে বাঁচলেন নয়জন পুলিসকর্মী। শুক্রবার রাতে হাসনাবাদ থানার মুরারিশাহ ফাঁড়ি এলাকার এই ঘটনায় ২০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শনিবার ভোরে এলাকা থেকে আব্দুল রহমান তরফদার ও লুৎফর তরফদার নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিসকে মারধর, পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক শেখ রাকেশ বেপাত্তা। জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ থানার মুরারিশাহ ফাঁড়ি এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে পড়শি যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক রাকেশ তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এই সময়ে রাকেশ নাকি অন্যত্র বিয়ের পরিকল্পনা করে। তা জানতে পেরে শুক্রবার রাতে হাসনাবাদ থানার মুরারিশাহ পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান যুবতী। 

    তার ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিসের একটি দল ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল কয়েকজন সি‌ভিক ভলান্টিয়ারও। তদন্তকারীরা অভিযুক্তের বাড়িতে যেতেই চারপাশ থেকে তাদের আচমকা ঘিরে ধরে অভিযুক্তর সঙ্গীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি ও রড নিয়ে পুলিসকর্মীদের উপর তারা চড়াও হয় বলেই অভিযোগ। এর জেরে ফাঁড়ির ইনচার্জ-সহ ন’জন পুলিসকর্মী জখম হন। কোনওক্রমে জখম পুলিসকর্মীরা এলাকা ছাড়েন। গুরুতর জখম তিন পুলিসকর্মীকে টাকি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার জখম কয়েকজনের এক্স-রে ও সিটি স্ক্যান করানো হয়। এরপরই রাতেই গোটা এলাকার দখল নেয় পুলিস। চলে রাতভর তল্লাশি। শনিবার ভোরের দিকে দু’জনকে পাকড়াও করা গেলেও মূল অভিযুক্ত রাকেশ সহ বাকিরা পলাতক। ঘটনার জেরে প্রতারণা ও ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিসের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা সহ একাধিক অভিযোগ হয়েছে। এনিয়ে বসিরহাট পুলিস জেলার পুলিস সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, পুলিস হাসনাবাদে একটি ঘটনার তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতেই এই হামলা। আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)