নবান্ন অভিযানে জখম সার্জেন্ট চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদে
এই সময় | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান জেরে জখম হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে তাঁর বাঁ দিকের চোখ গুরুতর জখম হয়। কলকাতার মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে রবিবার ওই সার্জেন্টকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদ রওনা হলেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের অন্য এক সদস্য।সূত্রের খবর, হায়দরাবাদের এল ডি প্রসাদ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানায়, সার্জেন্ট দেবাশিসের বাঁ চোখে আংশিক দৃষ্টিহীনতা রয়েছে। চোখে রয়েছে ‘বাবল’। দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক করাতে তাঁকে হায়দরাবাদের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মুকুন্দপুরের শংকর নেত্রালয় থেকে আজ সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে সার্জেন্টকে হাওড়া স্টেশন নিয়ে যাওয়া হয়।
স্টেশনে আগে থেকেই কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের অফিসার ও কর্মীরা দেবাশিসের আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সার্জেন্ট অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে হাওড়ায় পৌঁছলে তাঁকে ব্যাটারি চালিত একটি গাড়িতে বসিয়ে হাওড়া-ফলকনুমা এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট কোচের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ কর্মীকা তাঁকে সাবধানে কোচে উঠিয়ে দেন।
সূত্রের খবর, সার্জেন্ট দেবাশিসের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা থাকলেও পুলিশের বড় কর্তারা কলকাতা থেকে হায়দরাবাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখবেন। যে কোনও প্রয়োজনে দেবাশিসের পরিবারকে সাহায্য করবেন। এমনকী, দরকার পড়লে কলকাতা থেকে আরও লোকজন পাঠানেো হবে দেবাশিসের দেখভালের জন্য।
নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে পুলিশ সবরকম প্রতিরোধ গড়েছিল। বিক্ষোভকারীদের যাতে কোনও ভাবেই নবান্ন পৌঁছতে না পারে তার জন্য বিভিন্ন রাস্তায় পেল্লায় পেল্লায় ব্যারিকেডও দেওয়া হয়। আন্দোলকারীদের বাধা দিতে গিয়ে তাদের ছোড়া ইটে গুরুতর জখম হয় সার্জেন্টের চোখ।