সাত বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মধ্যমগ্রাম। 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তুলে পথে নামলেন গ্রামবাসীরা। দোকানপাঠ ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা, জানা গিয়েছে এমনটাই। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ এবং কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয় বলে জানা গিয়েছে। রবিবারও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। সেখানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের রোহান্ডা পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকায় এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। যদিও তার আগেই এই খবর চাউর হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষজন উত্তেজিত হয়ে ওই অভিযুক্তর বাড়ি সহ আত্মীয়দের দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী। পুলিশের সামনেই ব্যাপক ভাঙচুর চলানো হয় বলে অভিযোগ। এক পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। এরপরেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ভিড়। নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। রবিবার সকালেও এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। তবে যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে আদালতে তুলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
রবিবার সকালে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে এলাকার এক ব্যক্তি। সে বাড়িতে এসে মাকে সবটা জানায়। এরপরেও অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের এক সদস্য।’
যদিও ওই পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার সিপিএমের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। ওই নাবালিকার বাবা বলেন, 'অভিযুক্ত আমাদের গ্রামের বাসিন্দা। ও এই ধরনের কোনও কাজ করতে পারে তা ভাবতেও পারিনি। মেয়ে বাড়ি থেকে আমার দোকানে আসছিল। সেই সময় এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত। আমি ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'