এই সময়: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদীদের দখলে থাকল শনিবারের কলকাতাও। হাতিবাগান থেকে গড়িয়াহাট--পুজোর বাজারে আসা জনতাও শপিং ভুলে গলা মেলাল ‘বিচার চাই’ দাবিতে। এ দিন সন্ধ্যায় ২৭টি স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিল ছিল গড়িয়াহাটে। কেনাকাটার জন্যে আসা বহু মানুষ, বিশেষত মহিলারা, সেই মিছিলে সামিল হলেন হাতে হাত ধরে। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যার বিচার চাইলেন সমস্বরে।উত্তর কলকাতার হাতিবাগান এলাকাও দিনের বিভিন্ন সময়ে চলে যায় সভা, মিছিলের দখলে। ব্যারাকপুর, পলতা থেকে আসা মানুষ শপিং ছেড়ে পাশে দাঁড়ান আন্দোলনকারীদের। গলা মেলান বিচারের দাবিতে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর ডাকে এ দিন কয়েক হাজার ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পড়ুয়া সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিস থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করেন আরজি করের ঘটনায় বিচারের দাবিতে।
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের তরফে তিন প্রতিনিধি—চিকিৎসক অরিন্দম ভট্টাচার্য, কৌশিক চাকি এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত, দুষ্কৃতীদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
বিকেলে এক্সাইড মোড় থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চও। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে সুবিচারের দাবিতে হাঁটেন মঞ্চের সদস্যরা। মঞ্চের আহ্বায়ক সৌম্য দত্তের ডাকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্তরা নারী-সুরক্ষা ও বিচারের দাবিতে পথ হাঁটেন।
শিক্ষকদের মঞ্চ ‘টিচার্স ফর আরজি কর’-এর উদ্যোগে শিয়ালদহ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি ছিল এ দিনই। মাঝপথে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখানেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে শ্যামবাজারের ধর্নাস্থলে পৌঁছন তাঁরা।
আবার আশুতোষ কলেজের নারী ক্ষমতায়ন সেল, মনোবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ‘নারীর বিরুদ্ধে হিংস্রতা: সমাজতাত্ত্বিক এবং মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। সহযোগিতায় ছিল আইকিউএসি। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার সভাপতিত্ব করেন।