মৃত সাবির মল্লিকের পরিবারের দাবি তাদের পরিবারের কেউ গোমাংস খান না। তার পরেও মিথ্যে অপবাদ দিয়ে সাবিরকে পিটিয়ে মেরেছে গো রক্ষকরা। ওই ঘটনায় হরিয়ানা পুলিস এখনওপর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার সকালে সাবিরের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছয় বাসন্তীর বাড়িতে। এদিনই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। সাবির ছিল পরিবারের রোজগেরে মানুষ। তাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে পরিবার। ঘটনার খবর পেয়েই সাবিরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পাশে থাকার বার্তি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ।
রবিবার মৃত সাবিরের বাড়িতে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ দপ্তরের চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তিনি সাবিরের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে ওই পরিবারে একটি চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানান। ওই ঘটনা যারা জড়িত তাদের শাস্তি যাতে হরিয়ানা সরকার ব্যবস্থা করে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিয়ানা সরকারের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন বলে জানান। পাশাপাশি আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাবিরের পরিবারের হাতে। সাবিরের পরিবারে আছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, ভাই, বোন এবং স্ত্রী ও তিন বছরের একটি সন্তান।
বাসন্তী পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীদাম মণ্ডল জানান, পশ্চিমবঙ্গ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে অনেকেই বিভিন্ন রাজ্যে যান। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত ও মর্মাহত। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে জানিয়েছেন যাতে এই ঘটনা সংসদে তোলা যায়।