• মতুয়া মহাসংঘের শীর্ষপদ খোয়ালেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক, বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। আর তার জেরে হারাতে হয়েছে একের পর এক আসন। কিন্তু এতকিছুর পরও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াকে। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। তার সঙ্গেই এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন অশোকবাবু। টানা চার বছর এই পদে ছিলেন অশোক কীর্তনিয়া। কিন্তু এবার তাঁকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হল হিমাংশু বিশ্বাস নামে এক মতুয়া ভক্তকে। এই রদবদলের কারণ অবশ্য বিজেপি খোলসা করে বলেনি।

    অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াকে সরানোর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে বলে সূত্রের খবর। অশোকবাবু এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জেলায় শুরু জোর চর্চা। তৃণমূল কংগ্রেস এক্ষেত্রে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই সামনে এনে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, অশোক কীর্তনিয়ার সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। তাই তাঁকে সরতে হয়েছে। আর বিজেপির বক্তব্য, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, বেশ কয়েকবছর ধরে অশোক কীর্তনিয়া এই দায়িত্ব সামলেছেন। এবার নতুন মুখ আনতে বদল করা হয়েছে।

    বিজেপির একটি সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার দূরত্ব বাড়ছিল। সেটারই ফলশ্রুতি এই রদবদল। বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে বহিরাগতকে প্রার্থী করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে দলের অন্দরেই। জেলায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। তখন উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যায়নি অশোক কীর্তনিয়াকে। অবশেষে ওই আসনটি হেরে যায় বিজেপি। আর সেটি জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সাংসদ। বিধায়ক খাটলে এই আসন জেতা যেত বলে মনে করেন বিজেপি নেতারা।

    তবে এই রদবদল যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল তা মেনে নিতে চাননি বিজেপি নেতা। আর তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিয়েছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‌পরের বিধানসভা নির্বাচনে যাতে অশোক কীর্তনিয়া টিকিট না পায় তাই তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে।’‌ পাল্টা বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‌অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ একটি ধর্মীয় সংগঠন। তার সভাপতি বা পদাধিকারী কে হবেন সেটা ওই সংগঠনের নিজস্ব ব্যাপার। এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)