• কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ধর্ষণের ভিডিয়ো করে ব্ল্যাকমেল নদিয়ায়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল নদিয়ায়। কৃষ্ণগঞ্জ ভাজনঘাট এলাকায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে নাবালিকাকে খাবার কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পাশের কলাবাগানে নিয়ে যায় ওই যুবক। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী পরিবারকে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নাবালিকার। আদিবাসী এই নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনা বলে দিয়েছে। তাতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

    এদিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঝোপ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ১৪ বছরের মেয়েকে উদ্ধার করে পরিবার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নির্যাতিতার কাছে ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। আর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা এবং খুনের হুমকিরও অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধর্ষণ–খুনের হুমকির প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার নিরাপত্তার দাবি তুলেছে পরিবার। রাত ১টা নাগাদ নির্যাতিতাকে পাশের কলাবাগান থেকে অচৈতন্য অবস্থায় পান তাঁরা। বাড়িতে আনলে সংজ্ঞা ফেরে তার।

    অন্যদিকে পরিবার সূত্রে খবর, মেয়েটি জানিয়েছে কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে মুখে রুমাল চেপে ধর্ষণ করা হয়েছে। মুখ খুললে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ভিডিয়ো করে রেখেছে অভিযুক্ত যুবক। কৃষ্ণগঞ্জ থানায় যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের সময় নাবালিকা সংজ্ঞা হারালে সেখানেই তাকে ফেলে রেখে চলে যায় ওই যুবক। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় মেয়ের খোঁজ করতে শুরু করেন বাবা–মা। অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ‘ওই যুবক খাবার কিনে দেওয়ার নাম করে একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে এসে খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। অন্ধকার নির্জন জায়গায় আমাকে ধর্ষণ করেছে। সেটা মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ডও করেছিল। কাউকে বললে ভাইরাল করে দেবে বলেছিল।’‌

    এছাড়া এই ঘটনার পর দোষীর শাস্তির দাবি তুলেছে পরিবার। নাবালিকার মা বলেন, ‘‌আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। তাই প্রথমে মেয়ে কিছু বলতে চায়নি। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটল সেটা আর কারও সঙ্গে যেন না হয় তার জন্য লড়ে যাব। দোষীর সাজা চাই। ফোনে পাওয়া যায়নি ওই যুবককে। পরে শ্মশানে এলাকার জঙ্গলে মেয়েকে খুঁজে পেয়েছি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)