• টাক মাথায় চুলের ধরন দেখে ‘কুখ্যাত’ অভীক লাগছে, RG করের লাল জামা রহস্যে বলল পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের সেমিনার হলে লাল জামা পরা ব্যক্তি কি সত্যিই অভীক দে? নাকি ওই ব্যক্তি আদতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ? সেই বিষয়টি নিয়ে যখন রহস্য ক্রমশ ঘনাচ্ছে, তখন কলকাতা পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে জানানো হল যে লাল জামা পরিহিত ব্যক্তির নাম হল আনিসুর রহমান। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি খারিজ করে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে যে ওই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। চুলের ধরন দেখে আনিসুরকে অভীক বলে মনে হচ্ছে বলে পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। 

    গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হলের মধ্যে ওই ছবি তোলা হয়েছে। সাদা সাদর দিয়ে ঘেরা অংশের মধ্যেই তরুণী চিকিৎসকের দেহ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে ‘ক্রাইম সিন’-এ এত লোকজন ছিলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

    পরবর্তীতে কলকাতা পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয় যে ওই দুটি ছবিতে যাঁদের যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের সকলেই পুলিশ বা ফরেন্সিক বিভাগের প্রতিনিধি। তাঁরা কেউ বহিরাগত নন। তবে দ্বিতীয় ছবিতে লাল জামা পরিহিত এক ব্যক্তিকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পুলিশের তরফে দাবি করা হয় যে ওই ব্যক্তি হলেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। যাঁর মাথায় মধ্যবর্তী অংশে টাক ছিল।

    যদিও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে পালটা দাবি করা হয় যে ওই ব্যক্তি আদতে অভীক। যিনি এসএসকেএম হাসপাতালের প্রথম বর্ষের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি। ফলে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। সেই আবহেই লালবাজারের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে লাল জামা ব্যক্তি আদতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসুর।

    ১) অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে সিন্ডিকেট আছে, সেটা চালায় ‘উত্তরবঙ্গ লবি’। আর অভীক সেই লবির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ২) সপ্তাহখানেক বিভিন্ন হাসপাতালে যে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র পোস্টার পড়েছিল, তাতে অভীকের নাম এবং ছবিও ছিল।

    ৩) ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি, যেভাবে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতি হয়েছিলেন অভীক, তা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। সার্ভিস কোটায় যাতে ভরতি হতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)