• ভাইরাল ছবিকে 'ফেক' প্রমাণ করতে 'ভুয়ো' পোস্ট? 'ট্রোল' হচ্ছে কলকাতা পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বাসের চালক হাত বাড়িয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্টকে কিছু দিচ্ছেন বা নিচ্ছেন। তা নিয়ে ফেসবুকে বহু মানুষ পোস্ট করে। অনেকেই দাবি করেন, পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে। এরপর সেই পোস্টকে 'ফেক' বলে দাবি করে কলকাতা পুলিশ। সেই আবহে তারা একটি পালটা পোস্ট করে। সেখানে দাবি করা হয়, ২৫ অগস্ট এই ছবিটি তোলা হয়েছে। পুলিশ সার্জেন্ট চালান কাটছেন, ঘুষ নিচ্ছেন না। তবে পরে দাবি করা হয়, ছবিটি ২০২৩ সালে তোলা। তবে আরজি কর কাণ্ডের আবহে ভাইরাল হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের পেজে সেই 'ফ্যাক্টচেক' পোস্টটি আর দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি করা হয়েছে।

    কলকাতা পুলিশের সেই পোস্টে লেখা ছিল, 'নীচের ছবিটি ভালো করে দেখুন। ভাইরাল হয়েছে ছবিটি। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। অনুরোধ, তাঁরা আবার দেখুন। যাঁরা এখনও দেখেননি, তাঁরাও দেখুন। ছবিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি আমাদের সহকর্মী উল্টোডাঙা ট্র‍্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট, যিনি ২৫ অগাস্ট সকাল দশটা নাগাদ খান্না মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি বাস আটক করেন। এবং পথচলতি যানবাহনের অসুবিধা ঘটানোর জন্য জরিমানা করেন চালককে। জরিমানার পরিমাণ: ৫০০ টাকা। প্রদেয় রিসিট সহ। স্পট ফাইনের এই টাকাটাই উনি নিচ্ছিলেন, যা বিধি অনুসারে জমা হবে সরকারি কোষাগারে। যাঁরা সত্যিই সত্যিটা জানতে চান, তাঁদের জন্য বাকি ছবিগুলিতে কেস নম্বর, ধারা ইত্যাদি তথ্য দেওয়া রইল। অথচ, সত্যিটা না জেনেই নেটিজেনদের একাংশে ছবিটিকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যঙ্গ, কটাক্ষ এবং গালাগালির স্রোত। 'ঘুষখোর' পুলিশকে নিয়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে মিম। যত বেশি গালাগালি, তত বেশি লাইক, তত বেশি শেয়ার! শেষে বলার, ভালমন্দ সব পেশাতেই আছে, পুলিশেও আছে। কাজে ভুলত্রুটি বা অন্যায় হলে নিশ্চয়ই তা আমাদের গোচরে আনুন, সমালোচনা করুন, আমরা সাধ্যমতো ব্যবস্থা নেব। তবে পুরোটা না জেনে ভুল তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না, অনুরোধ এটুকুই। সত্যিটা দিনের শেষে সত্যি, আর মিথ্যেটা মিথ্যেই।'

    এদিকে ২০২৩ সালের যে পোস্টটি থেকে এই ছবিটি নেওয় হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি 'আমরা বেহালাবাসী' নামক একটি ফেসবুক গ্রুপ। সেখানে শুভ্রদীপ সামন্ত বলে এজন ২০২৩ সালের ৬ অগস্ট সেই ভাইরাল ছবিটি পোস্ট করেছেন বলে দেখা যাচ্ছে। সেই পোস্টে লেখা, 'এইমাত্র এভাবেই বাসচালকের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সহৃদয় পুলিশকর্মী। ড্রাইভারের সঙ্গে চিরকুট আদানপ্রদানের পর অনরোড ক্যাশ লেনদেন হল বাসের কন্ডাক্টরের হাত দিয়ে। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অলিখিত অনুমতিপত্র এভাবেই স্বাক্ষরিত হয়। রাস্তায় বার হলেই দেখা যায়। তবে হ্যাঁ, ৯০% এরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সহৃদয় কর্মীর জন্য ১০০% **** বলতে নেই। ছোট্ট শিশুটির মর্মান্তিক পরিণতির ক'দিন হল? @অরবিন্দ সরণি, কলকাতা, বিশ্ববাংলা।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)