• হাসপাতালে ভর্তি সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসক দেবাশিস সোম, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এবার হাসপাতালে ভর্তি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক দেবাশিস সোম। রবিবার তাঁর শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তড়িঘড়ি ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানেই চিকিৎসাধীন দেবাশিসবাবু। সূত্রের খবর, ডায়াবিটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এখন তাঁকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক এই দেবাশিস সোম বলেই পরিচিত। কদিন আগেই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন তিনি। কেষ্টপুরে তাঁর বাড়িতে চলে তল্লাশি।

    এদিকে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই তদন্তে সিবিআইয়ের আতশকাচের নীচে ছিলেন দেবাশিসবাবু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অবনতির জেরে কিডনিতে প্রভাব পড়েছে। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অনেকটা বেশি। তবে তাঁর বিপি, পালস স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ারের যিনি চিকিৎসক, তাঁর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। দেবাশিস সোম আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি অনেকেরই।

    অন্যদিকে দেবাশিস সোম আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। ওই বিভাগের ‘ডেমনস্ট্রেটর’ পদে আছেন তিনি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিলেরও সদস্য তিনি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের কমিটিতেও আছেন। ৯ অগস্ট ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিসবাবু বলে সূত্রের খবর। ময়নাতদন্তের সময়েও তার উপস্থিতি ছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এই দেবাশিস সোম আবার রয়েছেন স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ডে। টাকা নয়ছয় থেকে শুরু করে পছন্দের লোকজনকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলায় সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন দেবাশিস সোম।

    এছাড়া দেবাশিস সোম তাঁর নিজের বিভাগের ঘরে বসতেন না বলেই অভিযোগ। সন্দীপ ঘোষের ঘরের পাশে একটি ঘর দেবাশিসবাবুর জন্য বরাদ্দ ছিল। সেখানে বসেই কাজ চালাতেন তিনি। আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে দেবাশিসবাবুকে জেরা করা হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। ইদানিং খুব টেনশনে থাকছিলেন বলে অন্যান্য চিকিৎসকদের সূত্রে খবর। আর তার জেরেই এই অসুস্থতা কিনা সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে চিকিৎসা চলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)