বনগাঁ-বাগদা রেলপথের কাজ শুরু শীঘ্রই? পরিদর্শনে রেল কর্তারা
এই সময় | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাগদা থেকে বনগাঁ পর্যন্ত রেলপথে যোগাযোগের স্বপ্ন এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের? অপেক্ষায় রয়েছেন বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার পূর্ব রেলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বনগাঁর খেদাপাড়া এলাকায় রেল ব্রিজ পরিদর্শনে আসেন।সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বনগাঁ স্টেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নানা প্রান্তে যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন থেকেই শিয়ালদার পাশাপাশি রানাঘাট লাইনেও চলে ট্রেন। তবে এবার বনগাঁর সঙ্গে বাগদার রেলপথে যোগাযোগের জন্য পুনরায় তৎপরতা দেখা গেল পূর্ব রেলের তরফে। এই লাইনে পূর্বে রেলের কাজ শুরু হলেও, পরবর্তীতে জমি জটের কারণে সেটা থমকে যায়। তবে এদিন রেলের তরফ থেকে প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণের পর আবারও স্থানীয় মানুষজন আশা করছেন অবশেষে হয়তো চালু হতে পারে এই পথে ট্রেন চলাচল।
এদিন ইস্টার্ন রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকদের দলের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। রেল সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে ৫৭ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল বনগাঁ-বাগদা রেলপথ নির্মাণের জন্য। জমি জটের কারণে ২০১৯ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।
দেবদাস মণ্ডল জানান, রাজ্য সরকারের জমির ক্ষেত্রে যে এনওসি দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষ জমি দিতে ইচ্ছুক হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় সে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে বনগাঁ থেকে চাঁদাবাজার পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজার থেকে বাগদা পর্যন্ত ১৩.৮৬ কিলোমিটার রেলপথ হওয়ার কথা।