আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তোলপাড় ফেলে দেন সুখেন্দুশেখর রায়। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি দাবি করেন, পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করুক সিবিআই। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন ঘটনার ৩ দিন পর কেন ঘটনাস্থলে ডগ স্কোয়াড গিয়েছিল। কেন এই বিলম্ব?
ওই পোস্ট করার জন্য লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয় সুখেন্দুশেখরকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি লালবাজার যাননি। পরে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে স্বীকার করে নেন যে তার পোস্টে তথ্যগত ভুল ছিল। সেটি মুছে ফেলা হবে। সেই পোস্টটি আর সুখেন্দুশেখরের হ্যান্ডলে দেখা যায়নি।
ঘটনার পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। আজকের পোস্টে আরজি কর কাণ্ড বা তৃণমূল কংগ্রেসের উল্লেখ নেই। কিন্তু লেখায় যে ইঙ্গিত করা হয়েছে সেখানে কোনও কোনও মহল মনে করছে যে ঘুরপথে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করছেন সুখেন্দুশেখর রায়। ১৭৮৯ সালে বাস্তিল দুর্গের পতনকে মনে করিয়ে তিনি ওই পোস্ট করেছেন।
এনিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, সুখেন্দুশেখর রায় ইতিহাসের ছাত্র তাই তিনি বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা বলেছেন। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা এল তা তিনি বলতে পারবেন না।
অন্য়দিকে, এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাস্তিল দুর্গের পতন তখনই হয় যখন রাস্তায় নেমে মানুষ সেই দুর্গের দিকে চলে। সেই মানুষের সঙ্গে আপনাকেও চলতে হবে। তখনই বাস্তিল দুর্গের পতন হবে। বাড়িতে বসে বসে স্বপ্ন দেখলে বাস্তিল দুর্গের পতন হয় না।