রাজা দাস, বালুরঘাট: রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে সোমবারের ১২ ঘণ্টার বন্ধ প্রত্যাহার করল আদিবাসী সংগঠন। বংশীহারী ব্লকের এক আদিবাসী নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন ওই সংগঠনের সদস্যরা। তার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনের নেতারা বলেন, “মুক্ত বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করেই আমরা বন্ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশের আশ্বাস নাবালিকার উপর নির্যাতনে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও সংগঠনের সদস্যরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “এই ঘটনার সঠিক বিচার না হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল ওই স্কুল ছাত্রী। পড়াশোনা শেষে নিজের ঘরেই শুয়ে পড়ে। রাত ১টা নাগাদ হঠাৎ মেয়ের চিৎকারে জেগে ওঠেন নাবালিকার মা। ঘটনার পর নাবালিকার মা ঘরে ঢুকতে যান। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি নাবালিকার মাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর পরই ঘরে ঢুকে নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান তার মা। ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
ঘটনার পর প্রথমে নাবালিকাকে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। শুক্রবার নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি অযথা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।