• ​​আজ লালবাজার অভিযানে নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
    এই সময় | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: আরজি করের ঘটনায় নির্যাতিতার ন্যায় বিচার চেয়ে গত ২৩ দিন ধরে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগও এর আগে তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এরপরেও আরজি করের ঘটনার তদন্তে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।পাশাপাশি ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে বহিরাগতদের হামলার ঘটনাতেও পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। এই দুই ইস্যুতে কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে আজ, সোমবার দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়্যার থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা।

    জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলাকালীন রোগী ভোগান্তিতে রাশ টানতে তাই আরজি করের আন্দোলনকারীরা শনিবার থেকে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করেছিলেন। শ’তিনেক রোগী পরিষেবা প্রথম দিনেই পেয়েছিলেন সেখান থেকে। এই পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা।

    তবে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় টেলিমেডিসিন পরিষেবার বদলে প্রথাগত ক্লিনিক আয়োজিত হয় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংলগ্ন এলাকায়। এবং সেখানে ব্যাপক সাড়া মেলে সাধারণ মানুষের থেকে। হাজার তিনেক রোগী হয় এ দিন কলকাতার সাতটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি, ৭৫০-রও বেশি রোগী হয়েছিল এনআরএসের ক্লিনিকে। আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা ক্লিনিক করেন কুমোরটুলির একটি ক্লাবে। সেখানেও ২৩২ জন রোগী এসেছিলেন। রোগীদের প্রেসক্রিপশন লেখার পাশাপাশি অনেকের ইসিজি, এক্স-রে, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহও করা হয়।

    সন্দীপ ঘোষের সপক্ষে তাঁর প্রশংসা করে একটি সর্বভারতীয় পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য শনিবার আরজি করের প্রাক্তনী তথা সেখানকারই রোগীকল্যাণ সমিতির বর্তমান চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়কে বহিষ্কার করেছিল আরজি কর এক্স-স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এ দিন ডাক্তারি পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মেডিক্যালের তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ করল মেডিক্যাল কলেজ এক্স-স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা সকলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক বিশেষ ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর অতি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।

    রবিবার কলকাতা মেডিক্যালের প্রাক্তনী সংসদের বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেখানে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়, কলকাতা মেডিক্যালের প্রাক্তন ডিন মানব নন্দীর পাশাপাশি চিকিৎসক সুহেনা সরকার ও তপন নস্করের সদস্যপদ বাতিল করা হচ্ছে। প্রাক্তনী সংসদের তরফে জানানো হয়, সম্প্রতি মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা হুমকি ফোনের অভিযোগ তুলেছিলেন।

    তাতে নাম জড়িয়েছিল ওই তিন জনের। আবার এ দিন প্রাক্তনীদের বৈঠকে চিকিৎসক-বিধায়ক তথা মেডিক্যালের প্রাক্তনী নির্মল মাজিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি একটি সূত্রের। যদিও নির্মল জানান, নিজের বিধাসভা এলাকায় কাজ থাকায় তিনি বৈঠকে যেতেই পারেননি।
  • Link to this news (এই সময়)