• গান্ধীগিরির পথেই সাফল্য, জলের অবৈধ সংযোগ ছিন্ন এলাকাবাসীর
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: গান্ধীগিরির পথেই এল সাফল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০টি বাড়িতে অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল করিমপুর এলাকায়। সেই সংযোগ তাঁরা নিজেরাই কেটেছেন, যাঁদের বাড়িতে এই অবৈধ সংযোগ ছিল। গান্ধীগিরির এই সাফল্য দেখে পিএইচই দপ্তর ধাপে ধাপে জেলায় এই সচেতনতা শুরু করবে। তাতে অবৈধভাবে নেওয়া জলের সংযোগ কেটে সকলকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে। 

    প্রসঙ্গত শনিবার করিমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিয়ানতলা এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, এলাকার জন প্রতিনিধি, পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অবৈধ জলের সংযোগ কাটার জন্য অনুরোধ করেন। প্রত্যেক বাড়িতে ছাত্রছাত্রীরা এই অনুরোধ রাখার পর একটা করে গোলাপ ফুল তুলে দিয়েছে। এমনকী অনেক বাড়িতে এই লাইনের সঙ্গে মোটর লাগিয়ে ট্রাঙ্কে জল তুলে রাখা হচ্ছিল। সেগুলির সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। এই সাফল্যে খুশি হয়ে এভাবেই গান্ধীগিরির পথ ধরেই এগতে চাইছে পিএইচই দপ্তর, যাতে সব বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে যায়। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মোট ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৫০টি বাড়ির মধ্যে ১০ লক্ষ ১৯ হাজার ২৩৪টি বাড়িতে জল মিশন প্রকল্পে বিশুদ্ধ পানীয় জল যাচ্ছে। বাকি বাড়িতেও খুব তাড়াতাড়ি এই পানীয় জল পৌঁছনোর কাজ করছে পিএইচই দপ্তর। দপ্তরের নদীয়া ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিত বাগচি বলেন, অনেক বাড়িতে অবৈধ সংযোগ রয়েছে। অনেক বাড়িতে পাম্প লাগিয়ে জল ট্যাঙ্কে তোলা হচ্ছে। এতে সব পরিবার এই বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছে না। আমরা সব বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। গ্রামের মানুষ নিজেরা পরিশুদ্ধ পানীয় জলের গুরুত্ব বুঝে নিজেরা তাঁদের অবৈধ সংযোগ কাটছেন, এটা অবশ্যই ভালো দিক। সেটা এসেছে করিমপুর-১ ব্লকের গ্রামে। ধাপে ধাপে জেলাজুড়ে এই ধরনের সচেতনতামূলক অভিযান চলবে। 

    জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুমা সুলতানা মীর বলেন, জল জীবন মিশনে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে আমাদের জেলা। কিছু বাড়িতে অবৈধ সংযোগ থাকার জন্য সব বাড়ি জল পাচ্ছিল না। সচেতন হয়ে মানুষ অবৈধ সংযোগ কটে দিয়েছেন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। জেলার এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, এই গান্ধীগিরির সাফল্যকে সব জায়গায় করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)