• গঙ্গাজলঘাটিতে মোরাম ফেলে রাস্তা সংস্কারে নামলেন বাসিন্দারাই
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এবার রাস্তা সংস্কারে হাত লাগালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় চলাচলে বহু মানুষের ভোগান্তি হচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা সংস্কারের আবেদন বারবার ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলেও আধিকারিকরা এব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। বাধ্য হয়ে রবিবার এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা জড়ো হয়ে রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেন। ঝুড়ি, কোদাল নিয়ে তাঁরা গর্তে মোরাম ফেলতে শুরু করেন। গঙ্গাজলঘাটি ব্লক প্রশাসনের 

    এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ 

    গ্রহণ করা হবে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা বুদ্ধদেব কর্মকার, শ্রীকান্ত কর্মকার বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা ওই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ছ’কিলোমিটার। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তাদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় প্রায় ১৭ বছর আগে রাস্তাটি পাকা করে। তারপর থেকে আর রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। ওই রাস্তার উপর বাঁকদহ, জামগাড়ি, ধতল সহ নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ নির্ভর করেন। বহু মানুষ রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন। ভাঙাচোরা রাস্তা ধরে যাতায়াতের সময় তাঁদের চরম সমস্যা হচ্ছিল। অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিদের চারচাকা গাড়িতে হাসপাতালে যাতায়াত করতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। সমস্যার কথা জানিয়ে আমরা গঙ্গাজলঘাটি ব্লক প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কারের লিখিত আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবেও বিষয়টি জানানো হয়। তাতেও কেউ কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে এদিন আমরা রাস্তার খানাখন্দ বুজিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিই। 

    এদিন গ্রামের বাসিন্দারা ঝুড়ি, কোদাল নিয়ে রাস্তা সংলগ্ন জঙ্গলের মোরাম কেটে গর্তে ফেলেন। এতে সাময়িক সুবিধা হলেও ফের যানবাহনের চাকার চাপে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়বে। ফলে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য রাস্তাটির আমূল সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে আমরা জেলা প্রশাসন, বিধায়ক, সাংসদের দ্বারস্থ হব।   
  • Link to this news (বর্তমান)