• বিনামূল্যে চিকিৎসা-ওষুধ, ১৫৬ জন প্রবীণের দেখভালের দায়িত্ব নিল পুলিস
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কারও ছেলেমেয়ে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে কিংবা বিদেশে থাকেন। কারও আবার পরিজনরা থেকেও নেই। যে যাঁর মতো থাকেন। খোঁজ রাখেন না বাড়ির প্রবীণ মানুষটির। ফলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় দিন কাটাতে হয় তাঁকে। জলপাইগুড়ি শহরের এমনই ১৫৬ জন একাকী কিংবা দুঃস্থ প্রবীণের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে পুলিস। নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, প্রয়োজনে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো কিংবা বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুলিসের তরফে। 

    রবিবার, পুলিস দিবসে ওইসব প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোমের ডাক্তাররা তাঁদের নিখরচায় চিকিৎসা করেন। ওষুধপত্র লিখে দেন। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, পুলিসের তরফে ওঁদের ওষুধের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। 

    জলপাইগুড়ি শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৭৭ বছরের গোপালচন্দ্র বাগচি। অকৃতদার তিনি। পরিবারে তিনি একা। একসময় বিমা সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। এদিন পুলিসের উদ্যোগে আয়োজিত শিবিরে এসে নিখরচায় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান। একইভাবে এদিন পুলিসের স্বাস্থ্য শিবিরে এসেছিলেন শহরের ডিবিসি রোডের ধারাপট্টির বাসিন্দা সুশীলা কামতি। ২০ বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। আত্মীয়রা যে যাঁর মতো, বাড়িতে তিনি একা। বললেন, প্রতিবেশীরা যেদিন যা দেন, তাই খেয়ে বেঁচে আছি। পুলিস আমার দেখভালের দায়িত্ব নেবে বলেছে। এদিন বিনা পয়সায় ডাক্তার দেখালাম। ওষুধ পেলাম। দুপুরের খাবারও পেয়েছি। 

    জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, শহরে যেসব প্রবীণ মানুষ একাকী কিংবা দুঃস্থ, তাঁদের ‘প্রণাম’ কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে। ওইসব মানুষের খোঁজখবর রাখার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে পুলিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর নেন। খাওয়াদাওয়া থেকে ওষুধপত্র যে কোনও প্রয়োজনে পুলিস ওই প্রবীণদের পাশে দাঁড়ায়।
  • Link to this news (বর্তমান)