• ধানক্রয় কেন্দ্রে ওজন নিয়ে চাষির প্রশ্ন, ক্ষোভ এড়াতে নয়া ব্যবস্থা নিল সরকার
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ওজন নিয়ে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ বা প্রশ্ন এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল রাজ্য খাদ্যদপ্তর। যে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব পারচেজ (ই-পপ) যন্ত্রের মাধ্যমে ধান মাপা হবে, তার সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রও যুক্ত থাকবে। ধান বিক্রির পর ই-পপ যন্ত্র থেকে বেরনো স্লিপে উল্লেখ থাকবে চাষি কী পরিমাণ ধান বেচলেন। এই কেন্দ্রগুলিতে ওজন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা বাধে। বহু চাষি অভিযোগ করেন, তাঁদের ওজনে ঠকানো হয় বা ধানের দাম কম দেওয়া হয়। নতুন ব্যবস্থায় এই  সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছে খাদ্যদপ্তর। 

    কিন্তু এই ব্যবস্থা চালুর তীব্র বিরোধিতা করেছে বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন। মিল মালিকদের সংগঠনটি খাদ্যসচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকির কাছে একটি দাবিপত্র দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এভাবে ই-পপ যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কেনার ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হোক। কারণ এতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। এছাড়া মিলিং চার্জ, পরিবহণ, শ্রমিকের মজুরি বাবদ খরচ বৃদ্ধিসহ মোট ৯টি দাবি রয়েছে। দাবিগুলি উপেক্ষিত হলে সরকারি ধান থেকে চাল উৎপাদন না-করারই হুমকি দিয়েছে মালিক সংগঠন।    

    অ্যাসোসিয়েশনের যুক্তি হল, ধানের সঙ্গে ধুলো-বালি-পাথরসহ নানা ধরনের ‘খাদ’ মিশে থাকে। নতুন সিদ্ধান্তে খাদ বাদ দিয়ে ওজনের ব্যবস্থা থাকছে না। ফলে ধানের যে ওজন পাওয়া যাবে, তা অন্যায্য। তাই ওই পরিমাণের ধানের ভিত্তিতে সরকারকে চাল দিতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মিলগুলি। অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, একেই ধান থেকে সরকার নির্ধারিত যে-হারে চাল দিতে হয় সেটা ঠিক নয়, নতুন ব্যবস্থায় মিলের ক্ষতি আরও বাড়বে।

    অন্যদিকে, চাষিদের অভিযোগ, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধানের প্রকৃত ওজন থেকে আবর্জনা বা খাদ বাবদ অনেকটাই বাদ দেওয়া হতো। এজন্য তাঁরা প্রাপ্যের চেয়ে কম টাকাই পেতেন। এই কারণে অনেক চাষি সরকারকে ধান বেচতেন না। পুরনো ব্যবস্থায় চাষির ধানের কয়েকটি বস্তার নমুনা পরীক্ষা করেই খাদের পরিমাণ ঠিক করা হতো। তারপর ধান ওজন করা হতো ম্যানুয়াল ওজনযন্ত্রে।
  • Link to this news (বর্তমান)