• পুরসভায় একশো দিনের কাজের কর্মীদের হাজিরাও বায়োমেট্রিকে
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একশো দিনের কর্মীদেরও এবার বায়োমেট্রিক হাজিরার আওতায় আনা হচ্ছে। তেমনটাই ঘোষণা করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সম্প্রতি, এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। 

    পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে শহুরে রোজগার যোজনার (১০০ দিনের কাজ) আওতায় থাকা কর্মীদের অধিকাংশই জঞ্জাল সাফাই বিভাগে কাজ করেন। বাকিরা কাজ করেন ইঞ্জিনিয়ারিং, উদ্যান ও পরিবেশ বিভাগে। এই সব বিভাগের কর্মীদের কাজ নিয়ে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেন। অনেকেই হাজিরা খাতায় নাম লিখে চলে যান। ঠিকমতো কাজ করেন না বলে অভিযোগ। আগে নিয়ম ছিল, কাউন্সিলার ও বরো চেয়ারম্যানরা এই কর্মীদের হাজিরার খাতা দেখে প্রতি মাসের মজুরি তালিকায় সই করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে পাঠিয়ে দিতেন। তারপর টাকা পেতেন তাঁরা। এভাবে চলতে গিয়ে কর্মীদের মজুরি অনিয়মিত হয়ে পড়ে। একটা সময় দু’-তিন মাসের মজুরি বকেয়া হয়ে যায় বলে খবর। কোনও কোনও কাউন্সিলার নানা অজুহাত দেখিয়ে পুরনো কর্মীকে কাজ থেকে বসিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। সেখানে নিজের লোক ঢোকাতেন কেউ কেউ। এই সমস্যার সমাধানে মেয়রের নির্দেশে কাউন্সিলার ও বরো চেয়ারম্যানদের থেকে দায়িত্ব কেড়ে আধিকারিকদের হাতে দেওয়া হয়। সম্প্রতি পুর অধিবেশনে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে। তাঁকে ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, একশো দিনের কর্মীদের হাজিরা খাতা দেখা কাউন্সিলারদের কাজ নয়। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই অফিসারদের হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মেয়র জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই যাতে একশো দিনের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা ‘ফুলপ্রুফ’ করতে বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, আর হাজিরা খাতা দেখার প্রয়োজন নেই। পুরোটাই সেন্ট্রাল সিস্টেমের মধ্যে থাকবে। হাজিরা খাতায় আর কারচুপি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। মাসের শেষে মজুরির তালিকা তৈরি করতে সুবিধা হবে। পরের মাসের শুরুর দিকেই কর্মীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি মজুরির টাকা ঢুকে যাবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)