বারুইপুরে একাধিক বেহাল রাস্তায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হুঁশ নেই প্রশাসনের
বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বারুইপুর: মাসখানেক আগে থেকেই রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে আছে প্রশাসন। বারুইপুর ব্লকের শাঁখারিপুকুর বটতলা থেকে দক্ষিণ রানা পর্যন্ত রাস্তার এমনই বেহাল দশা। ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে স্বভাবতই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতাধীন। তাই এ ব্যাপারে জেলা পরিষদকেও বলা হয়েছিল। তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রামনগর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চস্তরে জানিয়েছি।’ এই রাস্তা ধরে একদিকে যেমন ফুলতলায় বারুইপুর ব্লক অফিসে যাওয়া যায়, তেমনই যাওয়া যায় কৃষ্ণমোহন ষ্টেশনে। রোজ কয়েকশো অটো, টোটো চলাচল করে। শাঁখারিপুকুর বটতলা থেকে দক্ষিণ রানার দিকে কিছুটা এগলেই রাস্তার বেহাল দশা টের পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে পুকুরের দিকে পিচের রাস্তা ভেঙে পড়েছে। সেখানে রাস্তার বাকি অংশ ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
একই অবস্থা বারুইপুরের চম্পাহাটি মেইন রোডের। সবচেয়ে বাজে অবস্থা চম্পাহাটির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বটতলা পর্যন্ত অংশের। কবে এই রাস্তা সংস্কার হবে, প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তিতিবিরক্ত গাড়ির চালকরাও। বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার এনিয়ে বলেন, ‘সমস্যার কথা জানি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ এই রাস্তা ধরে বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড়ের ঘটকপুকুর যাওয়া যায়। রাস্তার আশপাশে রয়েছে একাধিক স্কুল। ফলে বেহাল রাস্তায় স্কুল পড়ুয়াদেরও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বটতলা পর্যন্ত গেলে দেখা যাবে, রাস্তায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দারা বলছেন, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব স্তরে রাস্তার এই অবস্থা জানানো হয়েছিল। কোনও কাজ হয়নি। এন অবস্থা যে এখন দু’টো অটো পাশাপাশি যেতে পারে না। দুর্ঘটনা লেগেই আছে। তাঁরা আরও জানান, কয়েক মাস আগে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছিল। তারপর থেকে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।