আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন কুণাল ঘোষ, তিন বার্তা শাসকদলের নেতার
আনন্দবাজার | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই রবিবার বিকালে নির্যাতিতার বাবাকে ফোন করেন কুণাল। দু'জনের মধ্যে প্রায় মিনিট দশেক কথা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবাকে ফোন করে কুণাল তিনটি বিষয় বলেছেন। এক, সংবাদমাধ্যমে সারাদিন কথা বলা তাঁর কাজ। তাঁর কোনও কথা যদি কখনও নির্যাতিতার পরিবারের খারাপ লেগে থাকে, তাহলে তিনি দুঃখপ্রকাশ করছেন। দুই, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যদি কিছু বলে, তার পাল্টা কথা তাঁকে সংবাদমাধ্যমে বলতেই হবে। এই রূঢ় বাস্তবটা যেন তাঁরা বোঝেন। তৃতীয়ত, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কুণাল বলেছেন, নির্যাতিতার পরিবার যদি মনে করে এমন কিছু কথা সংবাদমাধ্যমে তদন্তের স্বার্থে বলা উচিত, তাহলে সেটা নির্দ্বিধায় পরিবার তাঁকে যে কোনও সময় জানাতে পারে। কুণালের এক ঘনিষ্ঠ বলেন, “দাদা বলেছেন, আমার ফোন নম্বরটা সেভ করে রাখুন। দিনের যে কোনও সময়ে যে কোনও প্রয়োজনে আমাকে ফোন করবেন। আমি এবং আমরা চাই বিচার হোক। শাস্তি হোক।”
সূত্রের খবর, কুণালের ফোনের মূল নির্যাস ছিল, তদন্তের অগ্রগতির এবং দোষীদের শাস্তি। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার কুণালকে জানিয়েছে, তাঁদের এখন মূল অগ্রাধিকার তদন্তের অগ্রগতি। সূত্রের খবর, কুণালও তাতে সহমত পোষণ করেছেন। গত ১২ অগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। ঘটনাচক্রে, তার পরের দিনই আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর ফের প্রথম সারির কোনও তৃণমূল নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলেন। জানা গিয়েছে, কুণাল বলেছেন, তদন্তের অগ্রগতি দেখে তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখাও করবেন।
কৌতূহলের বিষয় হল, কুণাল এই ফোন করলেন কেন? তাঁর ঘনিষ্ঠদের মতে, বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবার সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তার প্রেক্ষিতে আবার সংবাদমাধ্যম কুণালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছে। কুণালের এক ঘনিষ্ঠের কথায়, “দাদাকে যা বলতে হচ্ছে টুকরো টুকরো কথার ভিত্তিতে। ফলে, রাজনৈতিক ভাবে কোনও কথার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পরিবারের আবেগে যেন আঘাত না লাগে, সেটারই চেষ্টা করেছেন কুণালদা।” তবে কুণাল ঘনিষ্ঠদের আরও বক্তব্য, রবিবারের ফোন নির্যাতিতার পরিবার ইতিবাচক ভাবেই গ্রহণ করেছে।