• প্রতিবাদী ভার্চুয়াল সভায় হ্যাকার হানা, চলল পর্নগ্রাফি
    এই সময় | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের সুবিচার চেয়ে এবং রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন কিছু ছাত্রছাত্রী। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে হ্যাকারদের হানার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযোগ উঠেছে, ভার্চুয়াল বৈঠক চলাকালীন অজানা আইডি থেকে বেশ কয়েকজন গুগল মিটে যোগ দেয় এবং প্রতিবাদ সভা বন্ধ করার জন্য হুমকি দেয়। পড়ুয়ারা প্রতিবাদ সভা বন্ধ না করায় আয়োজকের সিস্টেম হ্যাক করে স্ক্রিনে পর্নোগ্রাফি চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।সূত্রের খবর, গত ৩১ অগস্ট সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আরজি কর কাণ্ড-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। সভার আয়োজক ছিলেন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার পড়ুয়ারা। সভা চলাকালীন আচমকাই কয়েকজন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে গুগল মিটে যোগ দেয়। ভার্চুয়াল প্রতিসভায় যোগদানকারীদের ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে আয়োজকদের সিস্টেম হ্যাক করে সেখানে পর্নোগ্রাফি চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ সভা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। পরে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আয়োজকরা।

    বাপি সোরেন নামে অভিযোগকারী এক ছাত্র বলেন, 'আরজি কর কাণ্ডের পরে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নাবালিকাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। ওই সব ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আমরা গুগল মিটে এই কর্মসূচির আয়োজন করি। অন্য কাউকে গুগল মিটে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না।‘

    আয়োজকরা জানান, প্রতিবাদ সভা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর তাঁরা দেখতে পান পেজটি হ্যাক করা হয়েছে। সেখানে তিনটি আইডি থেকে গুগল মিটে ঢুকে পড়ে কয়েকজন। তারা নিজেদের দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর বলে পরিচয় দেয়। তারা জানায়, আয়োজকদের পেজটি পাকিস্তান থেকে হ্যাক করা হয়েছে। এই কর্মসূচিটি বাতিল করতে বলে তারা। আয়োজকরা তা না করায় সিস্টেম হ্যাক করে স্ক্রিনে পর্নগ্রাফি চালিয়ে দেওয়া হয়।

    এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অন্য এক ছাত্রী সাবিত্রী মুর্মু বলেন, 'আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আরজি কর এবং অন্যান্য ঘটনার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা। সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’
  • Link to this news (এই সময়)