এই সময়, তারাপীঠ: রবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত কৌশিকী অমাবস্যা। তার আগে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা চক্র রুখতে উদ্যোগী হলো তারাপীঠ মন্দির কমিটি৷ তারা জানিয়েছে, অনলাইন পুজোর কোনও ব্যবস্থাই কমিটির তরফে রাখা হয়নি। পাশাপাশি, পুজো দেওয়ার ভিড় সামাল দিতে ও নিরাপত্তার খাতিরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বীরভূম পুলিশ।বছরভর ভিড় লেগে থাকলেও কৌশিকী অমবস্যায় তারাপীঠে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়৷ ভক্তদের এই ভিড়কেই কাজে লাগিয়ে কৌশিকী অমবস্যায় অনলাইন পুজোর নামে প্রতারণা চক্রের রমরমা শুরু হয় মূলত করোনার সময়ে৷ তখন বাড়িতে আটকে পড়া ভক্তদের আবেগকে হাতিয়ার করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটতে থাকে প্রতারকরা।
এ বার আর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে অনলাইন পুজোর কোনও ব্যবস্থা নেই৷ পাশাপাশি প্রতারকদের বিরুদ্ধেও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মন্দির কমিটি। কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মন্দির কমিটির তরফে কোনও অনলাইন পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা নেই৷ কাজেই এই সূত্রে কেউ প্রতারিত হলে তার দায় আমাদের নয়৷ ভক্তদের বলতে চাই, কোনও প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না৷ বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছে৷’
পাশাপাশি, কৌশিকী অমবস্যার জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, নিরাপত্তায় থাকছেন ৩০০ জন অফিসার-সহ এক হাজার পুলিশকর্মী ও ১,৭০০ সিভিক ভলান্টিয়ার। এ বাদে দু’শো সিসিটিভি ক্যামেরা, ৩৭টি ড্রপ গেট, ১০টি ওয়াচ টাওয়ার, ১৩টি এন্ট্রি প্যাট্রলিং টিম ও কুইক রেসপন্স টিম ভক্তদের সুরক্ষায় নজর রাখবে।
চলবে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারিও। শ্মশান ঘাট ও দ্বারকা নদের ঘাটগুলির উপরে থাকবে বিশেষ নজর৷ রবিবার বিকেল চারটের পর থেকে তারাপীঠের মন্দির সংলগ্ন এলাকায় কোনও চারচাকা গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে আজ, সোমবার থেকে বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছে পূর্ব রেলও৷