ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লড়াইয়ের পথে দেখিয়েছিলেন মনীষা পৈলান, লক্ষ্মী আগরওয়ালরা। অ্যাসিড হামলায় মুখ পুড়ে গেলেও মন পোড়েনি তাঁদের। বরং নতুন শক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন অপরাধীদের শাস্তি দিতে। দীর্ঘ আইনি যুদ্ধ করেছেন তাঁরা। তথাকথিত রূপের ঝলক নয়, দগ্ধ মুখের সাহসী ‘সৌন্দর্য’ নিয়েই এসে দাঁড়িয়েছেন জনসমক্ষে। শাস্তিও পেয়েছে মনীষা পৈলান কিংবা লক্ষ্মী আগরওয়ালদের উপর অ্যাসিড হামলাকারীরা। তাঁদের দীর্ঘ যন্ত্রণার কথা মাথায় রেখেই নতুন ‘অপরাজিতা’ বিলে অপরাধীদের জন্য কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে আজীবন কারাবাস, সেইসঙ্গে জরিমানার প্রস্তাব রয়েছে ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিলে’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)অনুযায়ী, অ্যাসিড হামলার মতো অপরাধের ন্যূনতম সাজা ১০ বছরের কারাবাস আর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাবাস ও জরিমানা। এবার নারীদের উপর সংগঠিত অপরাধ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবিত ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিলে’ (Aparajita Women and Child Bill) অ্যাসিড হামলার সাজা হিসেবে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। মামলাটি জামিন অযোগ্য। দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসিড হামলায় (Acid Attack) যতদিন বাঁচবে, ততদিনই তাদের থাকতে হবে জেলে।
আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ধর্ষণে আরও কড়া আইনের বিধান আনছে। পেশ হতে চলেছে ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’। সোমবার সেই বিলের খসড়া (Draft) দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের হাতে। তাতে শুধু ধর্ষণ বিরোধীই নয়, মহিলাদের উপর ঘটে চলা নানা সংঘটিত অপরাধ রুখতেই কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যাসিড হামলা। এধরনের ঘটনা দোষী সাব্যস্ত হলে তেমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো না এতদিন। নির্দিষ্ট সময় পর জেল থেকে ছাড়া পেত অপরাধী। কিন্তু এবার আজীবন কারাবাসেই রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবিত নয়া আইনে।