ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড! মমতা সরকারের ‘অপরাজিতা’ বিল ন্যায় দেবে অরুণা শানবাগদের?
প্রতিদিন | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অরুণা শানবাগের উপরে হামলার পাঁচ দশক পরেও যে কর্মক্ষেত্রে আজও সুরক্ষিত নন মেয়েরা— তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ২০২৪-এ আর জি কর কাণ্ড। গত শতাব্দীর সাতের দশকে মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের বেসমেন্টে ধর্ষিতা হন পেশায় নার্স অরুণা। পাশবিক অত্যাচারের জেরে ৪২ বছর কোমায় ছিলেন তিনি। অন্যদিকে গত ৮ আগস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে তুমুল আন্দোলন। উত্তেজনার এই আবহে ধর্ষণের মতো অপরাধ রুখতে ‘অপরাজিতা’ বিল আনতে চলেছে মমতা সরকার। বিলের প্রধান উদ্দেশ্য হল—যৌন নির্যাতনে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা। প্রশ্ন হল, নতুন এই বিল কি অরুণা শানবাগদের ন্যায় দিতে পারবে?
ধর্ষণের ঘটনায় কঠোরতম সাজা দিতে বিল আনার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই উদ্দেশ্যে সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসে। সেখানেই নয়া ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)-এর খসড়া আলোচনার জন্য সব পক্ষের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিলটি পেশ হওয়ার কথা বিধানসভায়। এখন প্রশ্ন হল, ধর্ষণের অপরাধে কি মৃত্যুদণ্ড হবে অপরাধীর? ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কিন্তু সেই বিধান নেই। ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাবাস। ধর্ষণ এবং খুনের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ১৬ বছরের কম বয়সি কাউকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ২০ বছরের শাস্তির বিধান রয়েছে। অপরাধ বিবেচনা করে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তবে ১২ বছরের কম বয়সি শিশুকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছরের কারাবাস। অপরাধ বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এমনকী মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।